রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ট্রাক চাপায় নিহত শিক্ষার্থী মাহমুদ হাবিব হিমেলের স্মরণে ও হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ হিসেবে ছবি আঁঁকা কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রয়ারি) দুপুরে দুর্ঘটনাস্থলে চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থীরা এই কর্মসূচির আয়োজন করেন। আগামী ২ দিন এই ছবি আঁঁকা কর্মসূচি চলবে। পরে এই ছবিগুলো ও হিমেলের তৈরি কিছু হাতের কাজ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিফলক চত্বরে একটি প্রদর্শনির আয়োজন করা হবে।
এর আগে গত মঙ্গলবার রাতে নির্মাণ সামগ্রী বাহী ট্রাকের চাপায় নিহত হন গ্রাফিক ডিজাইন, কারুশিল্প ও শিল্পকলার ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী মাহমুদ হাবিব হিমেল। বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ হবিবুর রহমান হলের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
হিমেলের সহপাঠী চিত্রকলা, প্রাচ্যকলা ও ছাপচিত্র বিভাগের শিক্ষার্থী আতিক ইমরান বলেন, আমরা তিন দিনব্যাপী এখানে ছবি আঁঁকবো। যেকোনো বিভাগের শিক্ষার্থী এতে অংশগ্রহণ করতে পারবে। যারা অংগ্রহণ করতে চায় তাদের রং ও কাগজ এখান থেকে দেয়া হবে। এরপর এই ছবিগুলো নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিফলক চত্বরে একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করবো। তাছাড়া হিমেলের স্মরণে আজ সন্ধ্যায় ঘটনাস্থলে হিমেলের ছবি বাঁধিয়ে ‘দিয়া’ জ্বালানো হবে। এছাড়াও ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবাদ স্বরুপ ছবি আঁকানো হবে।
তিনি বলেন, তার বাইকটাতে রং করে স্মৃতিস্তম্ভ আকারে ঘটনাস্থলেই প্রতিস্থাপন করবো। হিমেলের কিছু হাতের কাজ আছে। যেগুলো ঐ দিন প্রদর্শন করা হবে। পরবর্তিতে হিমেলের আর্টগুলো সংরক্ষণ করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ স্মৃতি সংগ্রহশালায় রাখার জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি রাখবো।
হিমেলের সহপাঠী ও চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থী আলামনি ইসলাম রনোক বলেন, ‘এখানে যে চিত্রকর্মগুলো করা হয়েছে সবগুলো প্রতিবাদস্বরুপ। কারণ যে সড়ক দুর্ঘটনাটি হলো এটাকে আমরা হত্যাকাণ্ড বলছি। হিমেলের সহপাঠী, ছোট ভাই-বোনের মধ্যে তার মৃত্যু যে প্রভাব ফেলেছে সেই ক্ষোভ থেকে প্রতিবাদি এই চিত্রকর্মগুলো করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা মেনে নিতে পারেনি যে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে এমন একটি দুর্ঘটনা ঘটবে। সেই ক্ষেত্রে এই চিত্রকর্মকে সচেতনমূলক বলা যায়।
নয়া শতাব্দী/জেআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ