ঢাকা, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আত্মহত্যা সূচকে ২য় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

প্রকাশনার সময়: ২৯ জানুয়ারি ২০২২, ১৯:০৯

২০২১ সালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে যা আত্মহত্যা সূচকে ২য় স্থানে। দেশের বিশ্ববিদ্যালয়সহ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ২০২১ সালে ১০১ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। তাদের মধ্যে ৬৫ জন ছাত্র, অর্থাৎ আত্মহত্যা করা শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৬৪ দশমিক ৩৬ শতাংশই ছাত্র।

শনিবার (২৯ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছে সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আঁচল ফাউন্ডেশন। দেশের প্রায় ৫০টি জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকার আত্মহত্যার সংবাদ বিশ্লেষণ করে সংখ্যাটি পেয়েছে আঁচল ফাউন্ডেশন।

প্রতিবেদন থেকে দেখা গেছে, সবচেয়ে বেশি আত্মহত্যা করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯ জন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬ জন, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫ জন এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪ জন। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে সবচেয়ে বেশি আত্মহত্যা করেছে ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ জন শিক্ষার্থী। মেয়েদের চেয়ে ছেলেদের আত্মহত্যার হার বেড়েছে। যা ২৫ শতাংশ শিক্ষার্থী সম্পর্কের অবনতিজনিত কারণে আত্মহত্যা করেন।

প্রতিবেদনে আত্মহত্যার কারণ গুলো হলো, সম্পর্কের অবনতির কারণে আত্মহত্যার করেছেন ২৪.৭৫ শতাংশ, পারিবারিক সমস্যার জন্যে ১৯.৮০ শতাংশ, মানসিক যন্ত্রণার জন্যে ১৫.৮৪ শতাংশ, পড়াশোনা জন্যে আত্মহত্যা করেছেন ১০.৮৯ শতাংশ শিক্ষার্থী এবং আর্থিক সমস্যার জন্যে আত্মহত্যা করেছেন ৪.৯৫ শতাংশ শিক্ষার্থী।

গতবছর আত্মহত্যাকারীদের একটা বড় অংশই ছিল ছাত্র। সর্বমোট ৬৫ জন ছাত্র আত্মহত্যা করে যা মোট শিক্ষার্থীর ৬৪.৩৬ শতাংশ। অন্যদিকে নারী শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে এ সংখ্যাটা ছিল ৩৬ জন বা ৩৫.৬৪ শতাংশ। করোনার মধ্যে সামাজিক, আর্থিক ও পারিবারিক চাপ বেড়ে যাওয়া ছাত্রদের আত্মহত্যার পেছনে বড় নিয়ামক হিসেবে কাজ করেছে।

অনার্স পড়ুয়া ৩য় এবং ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থীদের মধ্যে আত্মহত্যার হার তুলনামূলক বেশি যা ৩৬.৬৩ শতাংশ। ধারণা করা যায়, এ শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার কেন্দ্রিক সামাজিক চাপ বেশি থাকে এবং ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার কারণে তাদের মাঝে হতাশার ছাপ বেশি দেখা যায়। ২২-২৫ বছর বয়সীদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা তুলনামূলকভাবে বেশি। সমন্বয়কৃত তথ্যগুলোর মধ্যে ৬০টি আত্মহত্যার ঘটনা এই বয়সসীমার শিক্ষার্থীদের মধ্যে দেখা গিয়েছে, যা মোট ঘটনার ৫৯.৪১ শতাংশ।

নয়া শতাব্দী/জেআই

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ