শিক্ষককের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে টানা ৩৫ দিন বন্ধ থাকার পর খুলে দেয়া হয়েছে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) আবাসিক হলগুলো।
গত ২৩ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের ৭৮তম জরুরি সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গতকাল শুক্রবার সকাল ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো খুলে দেয়া হয়। একই সঙ্গে আগামী রোববার থেকে একাডেমিক কার্যক্রম যথারীতি শুরু হবে।
এ তথ্য নিশ্চিত করে কুয়েটের জনসংযোগ ও তথ্য শাখার মুখপাত্র মো. রবিউল ইসলাম শুক্রবার জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাতটি আবাসিক হল খুলে দেয়া হয়। হল খোলার পর ইতিমধ্যে শিক্ষার্থীরা হলে উঠতে শুরু করেছেন।
এর আগে গত বছরের ২ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের অধ্যাপক মো. সেলিম হোসেনের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় ৩ ডিসেম্বর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়। শিক্ষক মৃত্যুর ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ জন শিক্ষার্থীকে আজীবনের জন্য ও ৪৪ জন শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দিয়েছে। সেই সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররাজনীতি সীমিত করা হয়েছে।
এদিকে, ড. সেলিম হোসেনের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন শিক্ষক সমিতির নেতারা। একই সঙ্গে আইনি বিচারিক প্রক্রিয়া অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে শুরু করার দাবি জানিয়েছেন তারা। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ধরনের একাডেমিক কার্যক্রমসহ দায়িত্ব পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শিক্ষকরা।
এছাড়া ড. সেলিমের একমাত্র মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌসের নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের একদিনের বেতনসহ কুয়েট শিক্ষক সমিতির ফান্ড থেকে সর্বমোট ১০ লাখ টাকার স্থায়ী আমানত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শিক্ষকরা।
নয়া শতাব্দী/এমআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ