ঢাকা, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি এন্দেল্লাহ, সম্পাদক মোতাহার

প্রকাশনার সময়: ২৯ ডিসেম্বর ২০২১, ২২:০৪

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন গণিত বিভাগের অধ্যাপক লায়েক সজ্জাদ এন্দেল্লাহ এবং সাধারণ সম্পাদক পদে ইন্সটিটিউট অব বিজনেস এডমিনেসট্রশন এর অধ্যাপক মোতাহার হোসেন।

বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদ-২০২২ এর নির্বাচনে তারা জয় লাভ করেন।

এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ক্লাবে সকাল ৯টায় ভোট গ্রহণ শুরু হয় এবং শেষ হয় দুপুর দেড়টায়।

নির্বাচনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের সমর্থক আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ’-এর বিপক্ষে লড়াই করে উপাচার্য বিরোধী জোট হিসেবে পরিচিত আওয়ামী লীগ ও বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের ‘শিক্ষক ঐক্য ফোরাম’ প্যানেল।

নির্বাচনে সর্বোচ্চ ২৮৮ ভোট পেয়ে সভাপতি নির্বাচিত হন উপাচার্যপন্থী শিক্ষক অধ্যাপক এন্দেল্লাহ। এছাড়া তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপাচার্য বিরোধী শিক্ষক রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক মাহবুব কবীর পান ২২৮ ভোট।

অন্যদিকে সাধারণ সম্পাদক পদে উপাচার্যপন্থী শিক্ষক অধ্যাপক মোতাহার পান ২৯৫ ভোট। এছাড়া তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন পান ২৪৬ ভোট।

নির্বাচনে সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ইসমত আরা, কোষাধ্যক্ষ পদে লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক মুহাম্মদ ছায়েদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক শাহেদ রানা জয়লাভ করেছেন।

এছাড়া সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন অধ্যাপক মো. মনোয়ার হোসেন, অধ্যাপক মো. সোহেল রানা, অধ্যাপক এম শামীম কায়সার, অধ্যাপক বুলবুল আহমেদ, অধ্যাপক মোহাম্মদ নঈম আজিজ আনসারী, অধ্যাপক মো. আকবর হোসেন, অধ্যাপক যুগল কৃষ্ণ দাস, অধ্যাপক হাফিজুর রহমান, অধ্যাপক সৈয়দা ফাহলিজা, সহযোগী অধ্যাপক ফাহমিদা আক্তার ।

এর মধ্যে উপাচার্য বিরোধী প্যানেলের শিক্ষকদের মধ্যে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক শাহেদ রানা ও নির্বাহী সদস্য পদে অধ্যাপক মো. মনোয়ার হোসেন, অধ্যাপক মো. সোহেল রানা নির্বাচিত হয়েছেন।

নির্বাচিত হওয়ার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় নবনির্বাচিত সভাপতি অধ্যাপক লায়েক সাজ্জাদ এন্দেল্লাহ বলেন, 'শিক্ষকদের পেশাগত স্বার্থ সংরক্ষণ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নে শিক্ষকদের সঙ্গে নিয়ে আমরা কাজ করবো। শিক্ষা ও গবেষণার মান উন্নয়নে প্রশাসনকে সহায়তা করবো আমরা।'

উল্লেখ্য, এবারের নির্বাচনে ৬০৬ জন ভোটারের মধ্যে ভোট প্রদান করেন ৫৭৮ জন শিক্ষক। ১৫টি পদের বিপরীতে দুই প্যানেল ও স্বতন্ত্র থেকে মোট ৩২ জন শিক্ষক প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

নয়া শতাব্দী/এস

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ