রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) হল সভাপতি উজ্জ্বল এবং সাবেরী আনোয়ারের বিরুদ্ধে শেকৃবি শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি জিনাত আরা ইয়াকুতকে (জেরিন) মারধর এবং হল থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি এবং ১৫ ব্যাচের রেদোয়ানুর রহমান, ১৬ ব্যাচের আসাদুজ্জামান রিদওয়ান ও আকাঈদ আলী খান নামে আরো তিন নেতার বিরুদ্ধে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করার অভিযোগ উঠেছে।
গত ২৩ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ১১ টায় শেকৃবির কৃষি অনুষদের ৭৫ ব্যাচের র্যাগ ডে উপলক্ষে কনসার্ট চলাকালীন সময়ে বসার চেয়ারকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযোগকারী শেকৃবি শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ৭৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী জিনাত আরা বলেন, গতকাল র্যাগ ডে কনসার্ট চলাকালে সেখানে আমাদের একজন ম্যাম এসে উপস্থিত হলে আমি কৃষকরত্ন শেখ হাসিনা হলের সভাপতি সাবেরি'কে তার চেয়ারটা দিতে বলি। তখন চেয়ার চাওয়াতে তিনি আমার উপর রাগান্বিত হয়। আমি তখন তার কাছে দুঃখ প্রকাশ করে চলে আসি। কিছুক্ষণ পর সাবেরি, শেখ হাসিনা হলের সাধারণ সম্পাদক জামিয়া, শেরেবাংলা হলের সভাপতি উজ্জ্বল, শিক্ষা ও পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক আকাইদ আলী খান, সাংগঠনিক সম্পাদক রেদোয়ানুর রহমান ও আসাদুজ্জামান রিদওয়ান হোসেন এসে আমাকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং উজ্জ্বল আমার গায়ে হাত তুলে। তারপর তারা আমাকে হল থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দেয়। আমি প্রশাসনের কাছে তাদের সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানাই।
এরপরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. হারুন-উর-রশিদ এসে সাবেরি এবং জিনাত আরা'র মধ্যে বিষয়টি সমাধান করে দেন। জিনাত আরা তখন অন্যান্য জড়িতদের বিচার দাবি করেন। এ বিষয়ে প্রক্টর বলেন, লিখিত অভিযোগের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনানুযায়ী এর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।অভিযুক্তদের সাথে কথা হলে তারা জানায়, আমরা শুধু তাদেরকে শান্ত করার চেষ্টা করেছি এবং কোন ভাবেই জিনাত এর গায়ে হাত তুলি নাই। অশ্লীল গালিগালাজ কথাটাও একটা বানোয়াট।
অতঃপর সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিকাল ৪ টায় মানববন্ধন করলে তখন বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি এস এম মাসুদুর রহমান মিঠুর অনুসারী একদল এসে বাঁধা দেয় এবং কৃষক রত্ন শেখ হাসিনা হল প্রায় ১ ঘণ্টা গেইট বন্ধ ছিলো।
শেকৃবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি এস এম মাসুদুর রহমান মিঠুর সাথে একাধিকবার ফোন দেওয়ার পরেও কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।
নয়া শতাব্দী/এস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ