ঢাকা, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

মেগা প্রকল্পে স্বপ্ন দেখছে ইবি

প্রকাশনার সময়: ১৭ ডিসেম্বর ২০২১, ১১:২১

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য ৫৩৭ কোটি ৭ লাখ টাকার মেগাপ্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল ২০১৮ সালে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নিতে যাচ্ছে। প্রকল্পের অধীনে নয়টি দশ তলা ভবন এবং ১৯টি ভবন সম্প্রসারণের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। নতুন ভবনের মধ্যে দুটি ছাত্র ও দুটি ছাত্রী হল, একটি একাডেমিক ভবন, শিক্ষক-কর্মকর্তাদের জন্য একটি, কর্মচারীদের জন্য একটি, নির্মাণাধীন শেখ রাসেল হলের দ্বিতীয় ব্লক এবং দ্বিতীয় প্রশাসন ভবন নির্মাণ করা হবে।

এছাড়া ১৯টি ভবনের সম্প্রসারণের মধ্যে রয়েছে দ্বিতীয় প্রশাসন ভবন, মীর মোশাররফ হোসেন একাডেমিক ভবন, ব্যবসা প্রশাসন অনুষদ ভবন, রবীন্দ্র-নজরুল কলা ভবন, দ্বিতীয় ডরমেটরি, পরমাণু বিজ্ঞানী ড. ওয়াজেদ মিয়া ভবন, চিকিৎসাকেন্দ্র, প্রভোস্ট কোয়ার্টার, টিএসসিসি, ইবি ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের পাঁচতলার নতুন ভবন ও পুরাতন ভবনের সম্প্রসারণ, শিক্ষক-কর্মকর্তাদের নির্মাণাধীন ভবন অন্যতম। প্রকল্পটির পূর্ণ বাস্তবায়ন হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের চেহারা বদলে যাবে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

প্রকৌশল দপ্তরের তথ্য মতে, আবাসিক সংকট নিরসনে ইতোমধ্যে একটি ছাত্র হল, একটি ছাত্রী হল, একাডেমিক ভবন, শেখ রাসেল হলের দ্বিতীয় ফেজ ও শিক্ষক-কর্মকর্তাদের জন্য ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। দশতলা বিশিষ্ট আবাসিক হলগুলো নির্মাণ শেষ হলে মোট ৭৫ শতাংশ শিক্ষার্থীদের আবাসন সুবিধা নিশ্চিত হবে। দশতলা বিশিষ্ট একাডেমিক ভবন নির্মাণ সম্পন্ন হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রেণি সংকট দূর হবে এবং অর্গানোগ্রামে উল্লেখিত বিভাগসমূহও চালু করা সম্ভব হবে। এছাড়া প্রশাসন ভবন নির্মাণ সম্পন্ন হলে অফিসসমূহ উন্নত হবে, শিক্ষার্থীদের সেবা প্রদান বাড়বে এবং স্থান সংকট দূর হবে। গবেষণা উন্নয়নমেগা প্রজেক্টের অংশ হিসেবে কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান গবেষণাগারের যন্ত্রাংশ ক্রয় এবং কম্পিউটার ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা হবে। এসব কার্যক্রম শেষ হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা খাতের ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হবে।

পানি সমস্যা দূরীকরণে মেগা প্রকল্পের আওতায় গভীর নলকূপ ও রেইন ওয়াটার হারভেস্ট প্ল্যান্ট স্থাপিত হবে। এর মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ভবনে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা হবে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের সুপেয় পানিসহ সব পানি সমস্যা দূর হবে। বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধানে দুটি ৫০০ কেভিএ বৈদ্যুতিক সাব স্টেশন, সোলার প্যানেল স্থাপনও এ প্রকল্পের অধীনে রয়েছে। এ পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান হবে।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিমনেশিয়ামে অবস্থিত ব্যায়ামাগারটি আরও উন্নত হবে। বেশ কিছু নতুন যন্ত্রাংশও ক্রয় করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের লেক এলাকাসহ বেশ কিছু স্থানে নয়নাভিরাম স্থাপনা তৈরিসহ সংস্কার করা হবে। যার ফলে বাইরের পর্যটন আকর্ষণের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদেরও বিনোদনের ব্যবস্থা হবে। এছাড়া ল্যান্ড ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের আওতায় ক্যাম্পাসের নিচু ও ভবনগুলোর আশপাশের এলাকা মাটি ভরাট করা হবে। এসব প্রজেক্টের টেন্ডার প্রক্রিয়া তাড়াতাড়ি শুরু হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, ‘আমি দায়িত্ব নেওয়ার সময় প্রকল্পের কাজ মুখ থুবড়ে পড়েছিলো। পরে বিষয়টি চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে আবারও কাজ শুরুর চেষ্টা করেছি।’

নয়া শতাব্দী/এস

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ