ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইবিতে সিনিয়রকে পেটালো জুনিয়র

প্রকাশনার সময়: ১৬ ডিসেম্বর ২০২১, ২২:৫৫ | আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০২১, ২২:৫৭

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) জুনিয়র কর্তৃক সিনিয়রকে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের লেক এলাকায় দ্বিতীয় বর্ষের জুনিয়র কয়েক ছাত্রলীগকর্মী মাস্টার্সের এক শিক্ষার্থীকে মারধরের করেছে বলেছে জানা গেছে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত শিক্ষার্থী জামিল হোসেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। সে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ নেতা শাহাজালাল ইসলাম সোহাগের অনুসারী।

ভুক্তভোগী ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী দুইজন জুনিয়রকে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকের পাশের রাস্তা দিয়ে হাটছিলেন। লেকের রাস্তাটি ছিলো বেশ সরু। এসময় অভিযুক্ত জামিল দ্রুত গতিতে মোটরসাইকেল চালিয়ে আসছিলেন। এসময় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী জামিলকে গাড়িসহ থামায়। সাথে দ্রুত গতিতে গাড়ি চালাতে নিষেধ করে।

এসময় জামিল তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে তুই তোকারি করে বলে ‘গাড়ি আস্তে চালাতে বলার তুই কে?’ ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী জামিলের পরিচয় জানতে চাইলে তখনও জামিল ঔদ্ধ্যতপূর্ণ আচরণ করতে থাকে। এসময় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী তার নিজের পরিচয় দেন। তখন অভিযুক্ত ছাত্রলীগের বিভিন্ন নেতার ভয় দেখিয়ে ও গালিগালাজ করতে থাকে।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী প্রতিবাদ করলে জামিল ও তার বন্ধুরা তাকে মারধর শুরু করে। জামিলের ও তার কয়েকজন বন্ধু ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে হেলমেট ও লেকের পাশে থাকা ডালপালা দিয়ে পিটিয়ে রেখে চলে আসে। পরে সাথে থাকা জুনিয়ররা তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বলেন, ‘সন্ধ্যার দিকে আমি দুইজন জুনিয়রকে সাথে নিয়ে সরু রাস্তা ধরে হাটছিলাম। জামিল লেকের রাস্তা দিয়ে দ্রুত গতিতে মোটরসাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিলো। আমি থামিয়ে তাকে জিজ্ঞাসা করি, সরু রাস্তায় এত জোড়ে গাড়ি চালাচ্ছো কেনো। তখন সে আমাকে বলে তুই আমাকে আস্তে চালানোর বলার কে? সাথে সাথে তাকে তার সেশনের কথা জিজ্ঞাসা করি এবং আমি আমার পরিচয় দেই। তখন সে বলে আমাকে ক্যাম্পাসের সবাই চেনে তুই চিনিস না কেন? এ সময় তারা আমাকে ছাত্রলীগের বিভিন্ন নেতার ভয় দেখিয়ে ওর তিন চারজন বন্ধু মিলে মারধর শুরু করে। তারা হেলমেট ও গাছের ডাল দিয়ে আমাকে পেটায়। ক্যাম্পাসে ছোটো রাস্তায় আস্তে চালানোর বলাটা তো দোষের কিছু না। সিনিয়র হিসেবে কি এটুকু বলতে পারি না?

অভিযুক্ত শিক্ষার্থী জামিল বলেন, ‘আমার বাসায় একটু জরুরি কাজ ছিলো তাই দ্রুত লেকের রাস্তা দিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে আসতে থাকি। তখন উনি আমার সাথে খারাপ আচরণ করতে থাকে। এসময় বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। উনি প্রথম আমাকে মারলে তখন আমরা উনাকে মারধর করি।’

নয়া শতাব্দী/জেআই

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ