রাত পোহালেই মহান বিজয় দিবস। লাখো শহীদের রক্তে রঞ্জিত এই বিজয় বাঙালির জাতীয় জীবনে বীরত্বগাঁথা এক স্মরণীয় দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে বাংলার আকাশে উদিত হয় বিজয়ের রক্তিম সূর্য। পৃথিবীর মানচিত্রে রচিত হয় লাল সবুজের স্বাধীন বাংলাদেশ।
দেখতে দেখতে বিজয়ের ৫০ বছরে বাংলাদেশ। প্রতিবছরই দিনটি নিয়ে বাঙালির উৎসাহ উদ্দীপনার যেন শেষ নেই। এর ব্যতিক্রম নয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ও। প্রতিবছরের মতো এবারও দিবসটি উদযাপন করতে ক্যাম্পাস সেজেছে বর্ণিল সাজে।
ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক থেকে শুরু করে শহীদ ড. জোহার মাজার চত্বর, প্রশাসন ভবন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোড লাল সবুজের পতাকা আর লাল-নীলের আলোকসজ্জায় আচ্ছাদিত। শহীদ ড. জোহা চত্বর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার পর্যন্ত সড়কটিও বাদ যায়নি। সেজেছে শিল্পির তুলিতে আঁকা রঙ-বেরঙের আল্পনায়।
শহীদ মিনারের চারপাশ জুড়ে বর্ণিল সব আলোকবাতিগুলো যেন আনন্দের এক আগমনী বার্তা দিচ্ছে। শুধু ক্যাম্পাসের এই অংশগুলোই নয়; আবাসিক হলগুলোতেও ছুঁয়েছে বিজয়ের ছোঁয়া। প্রতিটি হলই সেজেছে লাল-নীল আলোয়।
কেবল বর্ণিল সাজেই শেষ নয়, দিবসটি ঘিরে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনসহ অন্যান্য সাংস্কৃতিক, সামাজিক, সেচ্ছাসেবী, রাজনৈতিক সংগঠনের নানা কর্মসূচি। আজ সন্ধ্যা ৬টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ বুদ্ধিজীবী চত্বরে জহির রায়হান পরিচালিত তথ্যচিত্র ‘স্টপ জেনোসাইড’ ও হুমায়ুন আহমেদ পরিচালিত ‘আগুনের পরশমনি’ চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হবে।
এছাড়াও রাত ১২টা এক মিনিটে বিজয়ক্ষণ উদ্যাপন করবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এদিন ভোরে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে প্রশাসন ভবন, আবাসিক হল ও অন্যান্য ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। সকাল ৬টা ৪৫ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও বিভিন্ন হলের পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যূরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে। এরপর একে একে বিভিন্ন বিভাগ, সংগঠন পুষ্পস্তবক অর্পণ করবে।
সকাল ১০টায় শেখ কামাল স্টেডিয়ামে সুবর্ণজয়ন্তী, মুজিব জন্মশতবর্ষ ও বিজয় দিবস উপলক্ষে প্যারেড অনুষ্ঠিত হবে। সাড়ে ১০টায় শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ সিনেট ভবনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
এরপর সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ সিনেট ভবন প্রাঙ্গণে স্কুল ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হবে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা। বেলা ১১টা থেকে শেখ কামাল স্টেডিয়ামে শিক্ষক, অফিসার ও কর্মচারীদের বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর বিকেল ৪টায় সকল বিভাগ ও ইনস্টিটিউট, হল প্রশাসন এবং শিক্ষক সমিতিসহ অন্যান্য সংগঠন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অনলাইনে উপস্থিতিতে রাবি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শপথ পাঠে অংশ নেবেন। এরপর বিকেল ৪টা ১০ মিনিটে একই স্থলে সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হবে। এরপর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ‘সাবাস বাংলাদেশ’ চত্বরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।
নয়া শতাব্দী/জেআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ