ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

ঘুম ভাঙে অতিথিদের কোলাহলে

প্রকাশনার সময়: ১১ ডিসেম্বর ২০২১, ১২:৪৩

উত্তরের হিমেল হাওয়ার দাপটে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। প্রকৃতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে শীত নেমেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের এই নিবিড় পল্লী তেও। ভোরের ঠাণ্ডা উপেক্ষা করে ভোরে কিংবা খুব সকালে ওঠা মানুষের সংখ্যা নিতান্তই কম। পূব আকাশে কেবল উঁকি মারতে শুরু করেছে রক্তিম সূর্য। ক্যাম্পাস একেবারেই কোলাহলমুক্ত। নাম না জানা নানা বর্ণ আর আকারের পাখির কিচিরমিচির ধ্বনিতে মন জুড়িয়ে যায়। কলকল ধ্বনিতে ঘুমিয়ে থাকা ক্যাম্পাসকে জাগিয়ে তোলে তারা। যেন এ নৈসর্গিক আবহাওয়া।

শীতের আগমনের সঙ্গে সঙ্গে ইবিতে অতিথি পাখির আগমন প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়ম। প্রতি বছর হাজারো পাখির নয়া আমেজে নয়া আনন্দমেলা শুরু হয় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। পাখিদের কলকাকলিতে ১৭৫ একরের সবুজ ক্যাম্পাস হয়ে উঠে আরো প্রাণবন্ত। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। রীতিমতো ক্যাম্পাসের পাখিপ্রেমিদের মনে সাড়া জাগিয়ে দিয়েছে এরা। আর অতিথি পাখিকে ঘিরেই যেন সকল আনন্দের উৎসব। আর তাই লেকের হাজারো পাখ-পাখালির এমন নিবিড় আত্মার আত্মীয় ভাবাপন্ন আপন করা মায়াবী জালে আটকা পড়ে হাজারো অতিথি পাখি। আর এ মায়ার টানে তাই ফিরে আসে প্রতি বছরই হাজারো মাইল দূর দেশের পরবাসী অতিথি পাখি। আমাদের অতিথি হলেও তারা মূলত আসে জীবন বাঁচাতে।

শত-শত শুভ্র বক, বুনো শালিকের দল, টিয়ে, ময়না, ফিঙে, মাছরাঙা, সরালি, ল্যাঞ্জা হাঁস, খুঁনতে হাঁস, বালি হাঁস, মানিকজোঁড়সহ হাজারো অতিথি পাখির ডুব সাঁতারে তৈরি হয় এক নতুন ফটো অ্যালবাম। যে অ্যালবামজুড়ে থাকে পাখিদের ডুব-ডুব লুকোচুরি, খুঁনসুটি। অনেক কষ্টে একটি পুঁটি শিকারের পর গলধকরণ পরবর্তী মাছরাঙার পানি শুকানোর ডানা ঝাপটা। সকালে কলকল ধ্বনি ও গোধূলি শেষে যখন সূর্য ডুবুডুবু অবস্থা, ঠিক তখন মাথার ওপর দিয়ে উড়ে যায় এসব পাখি। উড়ে গিয়ে বসে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন গাছের ডালপালায়। রাতের বেলা স্থান নেয় ক্যাম্পাসেই। সৌন্দর্য উপভোগ করতে দেখা যায় সকাল-বিকেল বিশ্ববিদ্যালয় পুকুর ও লেক সংলগ্ন এলাকায় দর্শনার্থীদের ভিড়।

তবে পাখি আসলেও কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় কয়েক দিন মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। পুকুর আর লেকজুড়ে কচুরিপানার পাশাপাশি ক্যাম্পাসে নির্মাণকাজের শব্দের কারণে পাখিরা স্বাচ্ছন্দ্যে বিচরণ করতে পারছে না বলেও অভিযোগ রয়েছে। এস্টেট অফিসের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক টিপু সুলতান বলেন,‘ এ বছর অতিথি পাখিগুলো ধরে রাখতে আমরা পদক্ষেপ গ্রহণ করছি। যাতে পাখিগুলো উড়ে না যায়।’

নয়া শতাব্দী/এস

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ