চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সাংবাদিক সমিতির সদস্য ইফতেখায়রুল ইসলামকে হুমকি ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজের ঘটনায় বিচারের দাবি জানিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (চবিসাস)।

বুধবার (৮ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের মাধ্যমে উপাচার্য ড. শিরীন আখতার বরাবর দেওয়া এক অভিযোগ পত্রে এ দাবি জানানো হয়।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতির সভাপতি ইমরান হোসাইন ও সাধারণ সম্পাদক মুনাওয়ার রিয়াজ মুন্নার পক্ষে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক অভিযোগ পত্রে বলা হয়, চবিসাস সদস্য ইফতেখায়রুল ইসলামকে চবির

এক শিক্ষার্থী মুঠোফোনে প্রক্টর পরিচয়ে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করে ও দেখে নেয়ার হুমকি দেয়।

জানা যায়, হুমকিদাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী তৌহিদুল ইমলাম চৌধুরী (আইডি: ২০১০৭১৩৪)। গত ১৭ অক্টোবর রাতে চবির হেলথ, রেসিডেন্স অ্যান্ড ডিসিপ্লিনারি কমিটির এস সভায় বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ততার অভিযোগে চবি ছাত্রলীগের দুই বগিভিত্তিক গ্রুপ সিএফসি ও সিক্সটি নাইনের মোট ১২ জন কর্মীকে বহিষ্কৃত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। যেখানে ১০ জনকে ৬ মাস এবং অবশিষ্ট ২ জনকে ১ বছরের জন্য বহিষ্কারাদেশ দেওয়া হয়।

বহিষ্কার থাকাকালীন সময়ে নিয়ম অনুযায়ী বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে, আবাসিক হলে অবস্থান এবং ক্লাস ও পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না বলে নির্দেশ ছিল।

উল্লেখ্য যে, অভিযুক্ত তৌহিদুল ইসলামও উক্ত ১২ জন বহিষ্কৃতর তালিকার অন্তর্ভুক্ত একজন।

নিয়মানুযায়ী বহিষ্কৃত কেউ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে না পারলেও ওই শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিচ্ছে জানতে পেরে সে বিষয়ে খোঁজ নিতে গত সোমবার (৬ ডিসেম্বর) আরবি বিভাগের সভাপতি ড. মুহাম্মাদ শাযআত উল্লাহ ফারুকীর সাথে যোগাযোগ করেন ইফতেখায়রুল ইসলাম। পরদিন (মঙ্গলবার) সকালে ওই শিক্ষার্থী চারটি ভিন্ন নম্বর থেকে কল করে প্রক্টর পরিচয়ে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ ও দেখে নেব বলে হুমকি দেয়। এমতাবস্থায় ক্যাম্পাসে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে চবিসাসের এই সদস্য।

অভিযোগ পত্রে আরও বলা হয় চবিসাস মনে করে, এ ধরনের ঘটনা স্বাধীন সাংবাদিকতার পথে অন্তরায়। তাই অতিসত্বর অপরাধীর কঠোর শাস্তি দাবি করছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (চবিসাস)।

এ বিষয়ে চবি প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া বলেন, আমি অভিযোগ পত্র পেয়েছি। একজন শিক্ষার্থী প্রক্টর পরিচয়ে কাউকে হুমকি দেবে তা মেনে নেওয়ার মতো নয়। অভিযোগের প্রেক্ষিতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ওই শিক্ষার্থীকে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসা হবে।

নয়া শতাব্দী/এসএম