ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীদের ওপর স্থানীয়দের হামলার ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার রাতে ত্রিবেনী রোডের সাকসেস কোচিং সংলগ্ন রবিউল ইসলাম মেসে স্থানীয়দের হামলায় এক শিক্ষার্থী গুরুতরসহ পাঁচ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
আল-কোরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার জাহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে এ হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এসময় শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডিকে জানালে তারা অনেক দেরিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছে।
এদিকে, আহতদের বিশ্বদ্যিালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। রাত সাড়ে ১২ টার দিকে এ ঘটনার বিচার চেয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে শিক্ষার্থীরা।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগীর জানান, ত্রিবেনী রোডের সাকসেস কোচিং সংলগ্ন রবিউল ইসলাম মেসে ১২ জন শিক্ষার্থী অবস্থান করেন। গুরুতর আহত হওয়া আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের কামাল উদ্দীনের মাস্টার্স শেষ হয়েছে। এজন্য গতকাল সোমবার রাতে তারা মেসে সবাই মিলে ট্যুরের পরিকল্পনা করছিলেন। মেসের পাশেই বাড়ি বিশ্ববিদ্যালয়ের আল-কোরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার জাহিদুল ইসলামের। পরে মঙ্গলবার রাতে জাহিদ তাদের মেসে আসেন এবং কামালকে ডাকেন। এরপর শিক্ষার্থীদের চিল্লাচিল্লির কারণে তার ঘুম ভেঙে যায় বলে জানান। এর আগেও শিক্ষার্থীরা মেসে চিল্লাচিল্লি করেন বলে অভিযোগ করেন।
পরে মেসে থাকা অন্য শিক্ষার্থীরা বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করলে জাহিদ চটে যান এবং শিক্ষার্থীদের শাসান। একপর্যায়ে জাহিদ শিক্ষার্থীদের সাথে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। পরে তিনি অন্তত ৩০ থেকে ৪০ জনকে নিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা করেন।
তবে অভিযুক্ত জাহিদ হোসেন বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছু জানি না। মারামারির ঘটনার সাথে আমার সংশ্লিষ্টতা নেই।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ড. শফিকুল ইসলাম।
নয়া শতাব্দী/এমআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ