বহিষ্কারের পরও পরীক্ষায় অংশগ্রহণের ব্যাপারে তথ্য চাওয়াকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সদস্য, মহানগর নিউজ ও সময় টেলিভিশন অনলাইনের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি ইফতেখায়রুল ইসলামকে প্রক্টর পরিচয়ে হুমকি দেওয়ার বিষয়ে অভিযোগ উঠেছে একজনের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) বেলা ১২ টার দিকে একটি ফোন কলের মাধ্যমে এ হুমকি দেয়া হয়। পরে আরেক ফোন কলে নিজেকে আরবি বিভাগের (১৯-২০) শিক্ষাবর্ষের তৌহিদ ইসলাম বলে নিজেকে পরিচয় দেয় সে৷
ফোন কলে ওই ব্যক্তি বলেন, আমি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া (প্রক্টর) বলছি। আপনি কি নারায়ণগঞ্জের কেরানিগঞ্জের মোল্লাপাড়া মার্কেটে আছেন না? গতকাল আরবি বিভাগে সভাপতি আমাকে ফোন দিয়েছিল, উনার থেকে আপনার নাম্বার নিয়েছি৷ আপনি জানতে চেয়েছেন, আরবি বিভাগের ওই ছেলে (তৌহিদ) পরীক্ষা দিয়েছে কি না।
এ সময় প্রক্টর পরিচয় দেওয়া ওই ব্যক্তিকে আবারও পরিচয় জিজ্ঞেস করলে, জোর গলায় নিজেকে সে প্রক্টর বলে দাবি করেন। পরে সে আরবি বিভাগের সভাপতিকে কেন ফোন দেওয়া হয়েছে এ বিষয়কে কেন্দ্র করে ইফতেখায়রুল ইসলামকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ, দেখে নেওয়া এবং খুঁজে বের করার হুমকি দেয়৷
পরে আরেক ফোন কলে নিজেকে রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের মেহেদী হাসান নামে পরিচয় দিয়ে একজন বলেন, আরবি বিভাগের তৌহিদ তার নাম্বার থেকে ফোন করেছিলো। তৌহিদ বিশ্ববিদ্যালয়ের আব্দুর রব হলে থাকেন বলেও জানান তিনি।
এদিকে বেলা ২ টায় প্রক্টর পরিচয়ে হুমকি দেওয়া ওই নাম্বার থেকে আরেক ফোন কলে হুমকিদাতা নিজেকে আরবি বিভাগের তৌহিদ বলে পরিচয় দেয়৷ এ সময়ও সে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। বহিষ্কার হওয়ার পরও ফাইনাল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে বলেও স্বীকার করে।প্রসঙ্গত, গত ১৭ অক্টোবর রাতে চবির হেলথ, রেসিডেন্স এন্ড ডিসিপ্লিনারি কমিটির সভার এক সিদ্ধান্ত মোতাবেক বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ততার অভিযোগে চবি ছাত্রলীগের দুই পক্ষের ১২ কর্মীকে বহিষ্কার করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এদের মধ্যে দুইজনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করার অভিযোগে ১ বছর ও বাকিদের ৬ মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। উক্ত ১২ জন বহিষ্কৃতদের তালিকায় তৌহিদুল ইসলামেরও নাম রয়েছে।এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইফতেখায়রুল ইসলাম নয়া শতাব্দীকে বলেন, তৌহিদ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে কি না এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার জন্য আমি গতকাল আরবি বিভাগের সভাপতিকে ফোন দিয়েছিলাম। পরে আজ সকালে আমার ফোনে বেশ কয়েকটি কল আসে। এসময় একজন চবি প্রক্টর পরিচয়ে আমাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়।
তিনি আরও বলেন, এমন পরিস্থিতিতে আমি জীবন শঙ্কায় রয়েছি। আমাকে তো বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে হবে, ক্লাস করতে হবে। আমি চাই সঠিক তদন্তের মাধ্যমে জড়িতদের বিচার হোক।
এ বিষয়ে চবি প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া বলেন, এটি খুবই দুঃখজনক ঘটনা। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নয়া শতাব্দী/এম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ