২০২০-২১ অর্থ বছরের ৪৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির (এপিএ) মূল্যায়ন প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। এতে পাশ করেনি এতে ২৫টি বিশ্ববিদ্যালয়। ইউজিসির এই মূল্যায়নে পাশ নম্বর ছিল ৬০। সোমবার ইউজিসি সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ড. ফেরদৌস জামান স্বাক্ষরিত একটি প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২০২০-২১ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি মূল্যায়নে ৫৯ নম্বর পেয়ে ২২তম অবস্থানে রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ৫৪ দশমিক ৭২ নম্বর পেয়ে ২৩তম অবস্থানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, ৫৪.৪ নম্বর পেয়ে ২৪তম অবস্থানে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ৫২ দশমিক ২৭ নম্বর পেয়ে ২৫তম অবস্থানে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, ৪৮ দশমিক ৯ নম্বর পেয়ে ২৬তম অবস্থানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
৪৮ দশমিক ৫৩ পেয়ে ২৭তম অবস্থানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, ৪৬.৬৯ পেয়ে ২৮তম অবস্থানে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ৩২ দশমিক ৫৮ পেয়ে ২৯তম অবস্থানে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, ৩২ দশমিক ৩৩ পেয়ে ৩০তম অবস্থানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোম্পেস বিশ্ববিদ্যালয়, ১৯ দশমিক ৬৬ পেয়ে ৩১তম অবস্থানে রয়েছে রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় এবং ৩ দশমিক ২৫ পেয়ে ৩২তম স্থানে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে।
এদিকে তিন নম্বরের নিচে পেয়ে ৩৩তম অবস্থানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, ৩৪তম অবস্থানে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, ৩৫তম অবস্থানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, ৩৬তম অবস্থানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ৩৭তম অবস্থানে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ৩৮তম অবস্থানে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ৩৯তম অবস্থানে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ৪০তম অবস্থানে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
একই নম্বর পেয়ে ৪১তম অবস্থানে রয়েছে ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ৪২তম অবস্থানে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, ৪৩তম অবস্থানে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, ৪৪তম অবস্থানে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ৪৫তম অবস্থানে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় এবং সর্বশেষ ৪৬তম অবস্থানে রয়েছে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়।
উল্লেখ্য, সরকারি কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি, সম্পদের যথাযথ ব্যবহার ও সুশাসন নিশ্চিতকরণ এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা উন্নয়নের লক্ষ্যে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে এপিএ প্রবর্তন করা হয়।
নয়া শতাব্দী/এস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ