বাংলাদেশে ক্রমবর্ধমান শিল্পায়নসহ বিভিন্ন খাতে প্রতিনিয়ত জ্বালানির চাহিদা বাড়ছে। এই চাহিদা পূরণে পরিবেশ বান্ধব টেকসই এবং নবায়নযোগ্য শক্তি উদ্ভাবন করা প্রয়োজন। এজন্য উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে এ বিষয়ে অধিকতর গবেষণা করতে হবে।
রোববার (০৫ ডিসেম্বর) বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত ‘বাংলাদেশে টেকসই ও নবায়নযোগ্য শক্তির উন্নয়’ শীর্ষক সেমিনারে বিশেষজ্ঞরা এসব কথা বলেন।
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো: হাসিবুর রশীদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ এনার্জি এন্ড পাওয়ার রিসার্চ কাউন্সিলের (বিইপিআরসি) চেয়ারম্যান (সচিব) সত্যজিৎ কর্মকার, বিশেষ অতিথি ছিলেন বেরোবি বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. মো: মিজানুর রহমান ও নর্দান ইলেক্ট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডের (নেসকো) প্রধান প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার সাহাদাত হোসেন সরকার। স্বাগত বক্তৃতা করেন ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. ফেরদৌস রহমান।
উপাচার্য প্রফেসর ড. মো: হাসিবুর রশীদ বলেন, ‘তারুণ্যদীপ্ত উদ্ভাবনী শক্তি দ্রুত উন্নয়নে সহায়তা করবে। উপযুক্ত প্লাটফর্ম পেলে টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসারেও তরুণরা অবদান রাখতে পারবে। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে অত্যাধুনিক গবেষণাগার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’
প্রধান অতিথি সত্যজিৎ কর্মকার বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে জ্বালানি দক্ষতা ও সংরক্ষণ বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি এবং উদ্ভাবনী ধারণা বিকাশে অত্যাধুনিক গবেষণাগার প্রয়োজন। এক্ষেত্রে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বিইপিআরসির পক্ষ থেকে একটি গবেষণাগার প্রতিষ্ঠা করা হবে।’
সেমিনারে গবেষণা সম্প্রসারণ দপ্তরের পরিচালক ড. মো: তানজিউল ইসলাম, ছাত্র উপদেষ্টা মো: নুরুজ্জামান খান, বহিরাঙ্গন কার্যক্রম পরিচালক সাব্বীর আহমেদ চৌধুরীসহ ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে অতিথিবৃন্দকে ফুল ও শুভেচ্ছা স্মারক দিয়ে বরণ করা হয়।
নয়া শতাব্দী/জেআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ