ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য বিমার আওতায় আসছে রাবি শিক্ষার্থীরা

প্রকাশনার সময়: ২৪ নভেম্বর ২০২১, ১৭:৪২

জানুয়ারির শেষ নাগাদ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) শিক্ষার্থীরা জীবন ও স্বাস্থ্য বিমার আওতায় আসতে পারে বলে জানিয়েছেন বিমা প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র উপদেষ্টা তারেক নূর।

তিনি বলেন, দেশের প্রথমসারির ১০-১২টা বিমা কোম্পানিকে আগামী ৩০ তারিখের মধ্যে প্রস্তাবনা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। তারপর সকল কোম্পানির প্রস্তাবনা পর্যবেক্ষণ করে শিক্ষার্থীদের যারা সর্বোচ্চ সুযোগ-সুবিধা দেবে তাদের সঙ্গে আমরা চুক্তিতে যাবো। আশা করছি জানুয়ারির শেষের দিকে আমরা এই বিমা কার্যক্রম চালু করতে পারবো।

এর আগে গত অক্টোবর মাসের ২০ তারিখে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তারের সভাপতিত্বে ৫০৭তম সিন্ডিকেট সভায় এই বিমার অনুমোদন দেওয়া হয়। সাথে বিমা প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক সায়েন উদ্দিন আহমেদকে সভাপতি ও একাডেমিক শাখার উপ-রেজিস্ট্রার এএইচএম আসলাম হোসেনকে সদস্য সচিব করে ছয় সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়।

কমিটি সূত্রে জানা গেছে, বছরে ২৭০ টাকার কিছু কমবেশি প্রিমিয়াম নির্ধারণ করা হতে পারে শিক্ষার্থী প্রতি। তবে এক্ষেত্রে মডেল হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু হওয়া বিমা পলিসি যাচাই-বাছাই করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সক্ষমতার বিষয়টি মাথায় রেখে কাজ করছেন তারা। তারা বলছেন, প্রিমিয়ামের পরিমাণ বাড়ানো-কমানোর ওপর নির্ভর করবে বিনিময়ে কী পরিমাণ সুবিধা পাবে শিক্ষার্থীরা।

বছরের শুরুতেই শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে এককালীন প্রিমিয়াম জমা নেওয়ার পরিকল্পনা করছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর বিনিময়ে জীবন বিমার আওতায় থাকা কোনো শিক্ষার্থী মারা গেলে তার পরিবার সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা পাবেন। আর স্বাস্থ্য বিমার আওতায় কোনো শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিলে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত বিমা সুবিধা পাবেন। আবার বিমার আওতায় থাকা অসুস্থ কোনো শিক্ষার্থী যদি হাসপাতালে ভর্তি না হয়ে ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী চিকিৎসা নেয় সেক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত বিমা সুবিধা পাবেন। তবে এসব ক্ষেত্রে ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন, হাসপাতালের বিলের কাগজপত্র অথবা ভাউচার জমা দিতে হবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে।

তবে এখন পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। শিক্ষার্থীদের সক্ষমতা ও সুবিধা-অসুবিধা বিবেচনা করে প্রিমিয়াম ও বিমার পরিমাণ বাড়ানো-কমানো হতে পারে বলে জানিয়েছেন কমিটির সদস্যরা।

বিমা সম্পর্কিত যাবতীয় কর্মকাণ্ড চালাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে আলাদা একটি দফতর চালু করার পরিকল্পনা করছে প্রশাসন। যেন বিমার টাকা পেতে শিক্ষার্থীদের কোনো কোম্পানির কাছে ধরনা দিতে না হয়।

নয়া শতাব্দী/এসএম

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ