নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি) ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের স্নাতকের ভর্তি আবেদনে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক ফলাফলের নম্বর কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পূর্বের বিতর্কিত জিপিএর উপর ১০০ নম্বর কমিয়ে ৫০ নম্বর করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ডা. দিদারুল-উল-আলম সভাপতিত্বে একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠক সূত্রে জানা যায়, নোবিপ্রবিতে ভর্তির ক্ষেত্রে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে প্রাপ্ত জিপিএর নম্বর ১০০ থেকে কমিয়ে ৫০ নম্বর করা হয়েছে। এর মধ্যে এসএসসিতে প্রাপ্ত জিপিএর ক্ষেত্রে ৩০ এবং এইচএসসিতে প্রাপ্ত জিপিএর ক্ষেত্রে ২০ নম্বর ধরা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য ও শিক্ষা বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর।
তিনি বলেন, একাডেমিক কাউন্সিলের ৫৪ তম সভায় এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
এর আগে গত ১৮ নভেম্বর প্রকাশিত ভর্তি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী জিপিএ ১০০ নম্বর ধরে মেধাক্রম করার কথা বলা হয়। তবে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের তীব্র প্রতিক্রিয়ায় সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করলো নোবিপ্রবি প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার (অঃদাঃ) স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে স্নাতক প্রথম বর্ষে ভর্তি আবেদন আহবান করলে স্যোশাল মিডিয়ায় শিক্ষার্থীদের তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। বিজ্ঞপ্তিতে জিপিএ নম্বর ১০০ ধরার কথা উল্লেখ থাকলে তা কমানোর দাবী জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট ও ভর্তি সংক্রান্ত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপে বিষয়টি নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করে ভর্তিচ্ছু ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা যায়, ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা ২৪ নভেম্বর দুপুর ১২ টা থেকে ০৪ নভেম্বর রাত ১১ টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন। মোট ৬টি গ্রুপে ১৩৯১টি আসনে ভর্তি নেওয়া হবে। ‘এ’ ইউনিটের শিক্ষার্থীরা এ,বি,সি এবং ডি গ্রুপের জন্য আবেদন করতে পারবেন। ‘বি’ ইউনিটের শিক্ষার্থীরা ডি এবং ই গ্রুপের জন্য আবেদন করতে পারবেন। 'সি' ইউনিটের শিক্ষার্থীরা ডি এবং এফ গ্রুপের জন্য আবেদন করতে পারবেন।প্রতি গ্রুপে আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৬০০ টাকা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি সংক্রান্ত ওয়েবসাইট হতে জানা যায়, এ গ্রুপের আসন সংখ্যা ৩১৫টি, বি গ্রুপের আসন সংখ্যা ১৭৫টি, সি গ্রুপের আসন সংখ্যা ২৪৫টি, ডি গ্রুপের আসন সংখ্যা ৩৭৭টি, ই গ্রুপের আসন সংখ্যা ১৬৫টি, এবং এফ গ্রুপের আসন সংখ্যা ১১৪টি।
নয়া শতাব্দী/এসএম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ