ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাবির ছাত্রী হলে একের পর এক আন্দোলন, সমাধান কবে!

প্রকাশনার সময়: ২১ নভেম্বর ২০২১, ১৬:৪৪

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ছাত্রীদের আবাসিক হলে বিভিন্ন প্রকার অসঙ্গতির কারণে একের পর এক আন্দোলন চলছে। তবে শিক্ষার্থীদের কোনো সমস্যার সমাধান এখনো প্রশাসন থেকে দেওয়া হয়নি।

শনিবার (২১ নভেম্বর) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয় হলের সামনে দশ দফা দাবি নিয়ে আন্দোলন করেছে ছাত্রী হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা। এর আগে ৫ নভেম্বর একই দাবিতে আন্দোলন করে তাপসী রাবেয়া হলের ছাত্রীরা।

তাদের দাবি গুলো হলো- সান্ধ্য আইন পরিবর্তন, ইন্টারনেটের ফ্রিকোয়েন্সি বাড়িয়ে ওয়াইফাইয়ের সমস্যা দূর করা, ডাইনিংয়ে খাবারের মান বৃদ্ধি, অতিথিদের হলে প্রবেশে অনুমতি, অন্য হলের ছাত্রী ও প্রাক্তন ছাত্রীদের হলে প্রবেশের অনুমতি, হলের খালা ও স্টাফদের অসদাচরণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ, পরীক্ষা শেষে অন্তত দুই মাস হলে অবস্থানের অনুমতি, পর্যাপ্ত রিডিং রুমের ব্যবস্থা করা, হলের চারপাশ ও ওয়াশরুম পরিস্কার করা এবং হলের মশা-মাছি নিধনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

এ বিষয়ে রোকেয়া হলের আবাসিক শিক্ষার্থী শাকিলা খাতুন বলেন, ক্যাম্পাস খোলার পর থেকে ডাইনিং ও ক্যান্টিনে খাবারের দাম বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু খাবারের মানের কোনো পরিবর্তন হয়নি। মনে হচ্ছে খাবারের মান দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে। হল প্রাধ্যক্ষকে বার বার বলার পরও তিনি কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেন না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা নিয়মিত হলের ওয়াইফাই বিল পরিশোধ করি। কিন্তু আমরা বিল দিয়েও ওয়াইফাই সুবিধা পাই না। মোবাইল ডাটা কিনে ইন্টারনেট চালাতে হয়। হলে গেস্ট রাখতে পারিনা, হলের কর্মচারিদের দুর্ব্যবহারে অতিষ্ট হয়ে গেছি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-উপদেষ্টা তারেক নূর বলেন, শিক্ষার্থীরা যে সকল দাবি তুলেছে তা হঠাৎ করেই বাস্তাবায়ন সম্ভব না। ওয়াইফাই আপগ্রেডেশনের কাজ চলছে। এটি সম্পন্ন হলে ছাত্রীরা হয়তো ভালোভাবে ব্যবহার করতে পারবে।

তিনি আরও বলেন, ডাইনিংয়ের ২৪ টাকার খাবারে বিশ^বিদ্যালয়ে থেকে ভর্তুকি দেওয়া হয় না। তাই হল প্রাধ্যক্ষদের বলা হয়েছে ছাত্রীদের নিয়ে বসতে। তারা যেভাবে বলবে সেভাবে খাবার চলানো হবে। আর আমরা ভর্তুকির বিষয়ে ইউজিসির কাছে আবেদন করেছি। আশা করি খুব দ্রুতই ভর্তুকি পাবো।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর লিয়াকত আলী বলেন, হলের প্রধান সমস্যা গুলো দ্রুত সমাধান করা হবে। তবে কিছু দাবির বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। তাই তিন দিন সময় নেওয়া নিয়েছি। তিন দিন পর সিদ্ধান্ত জানানো হবে।

সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, হলের ইন্টারনেটের বিষয়টি আইসিটি সেন্টার দেখছে। আর মশা নিধনের জন্য আজ বিকাল থেকে ফগার মেশিন দিয়ে ওষুধ দেওয়া শুরু হবে। তিনি আরও বলেন, হলে গেস্ট রাখাসহ আরও কয়েকটি দাবির বিষয়ে আজ বিকাল চারটায় হল প্রাধ্যক্ষদের নিয়ে একটা মিটিং ডাকা হয়েছে। সেখানে সকল বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

নয়া শতাব্দী/এসএম

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ