দীর্ঘ পঞ্চান্ন বছর পাড়ি দিয়ে বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) ৫৬’তে পা রেখেছে দেশের অন্যতম ও সর্ববৃহৎ ২১০০ একরের স্বায়ত্তশাসিত ক্যাম্পাস চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি)। দিবসটি উদযাপনের লক্ষ্যে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে কর্তৃপক্ষ। দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে আনন্দ শোভাযাত্রা, প্রবন্ধ উপস্থাপন, আলোচনা সভা, স্মৃতিচারণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। যারজন্য ইতিমধ্যেই নানান রঙের আলোকসজ্জায় আলোকিত হয়ে উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান।
সকাল সাড়ে ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের শহীদ মিনার চত্ত্বর থেকে আনন্দ শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে শুরু হবে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের কার্যক্রম। অতঃপর ১০ টা ৪৫ মিনিটে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে।
বেলা ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জারুলতলা এলাকায় কেক কেটে সাড়ে ১১ টার দিকে প্রবন্ধ উপস্থাপন কর্মসূচি পালিত হবে। উক্ত প্রবন্ধ কর্মসূচিতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মহীবুল আজিজ। দুপুর ১২ টায় আলোচনা সভা ও স্মৃতিচারণমূলক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
উক্ত অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত থাকবেন উপ- উপাচার্য অধ্যাপক বেনু কুমার দে, বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জনাব আবদুল করিম এবং সাধারণ সম্পাদক জনাব মাহবুবুল আলম। সবশেষে বিকাল ৩ টায় রয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
প্রসঙ্গত, ১৯৬৬ সালের ১৮ নভেম্বর আনুষ্ঠানিক ভাবে যাত্রা শুরু করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। বাংলা, ইংরেজি, ইতিহাস ও অর্থনীতি নিয়ে মোট ৪ টি বিভাগ, ২০০ শিক্ষার্থী এবং মাত্র ৭ জন শিক্ষক নিয়ে শুরু হওয়া সেই বিশ্ববিদ্যালয়ে আজ ৯ টি অনুষদ, ৬ টি ইনস্টিটিউট, ৫২ টি বিভাগ, ৫ টি গবেষণা কেন্দ্র, ১৩টি আবাসিক হল, ৩টি জাদুঘর এবং প্রায় সাড়ে ৩ লাখ বই, পাণ্ডুলিপি, জার্নাল, অন্ধদের জন্য ব্রেইল ও অডিও- ভিডিও ভিজ্যুয়াল উপাদান সম্বলিত দেশের সর্বাধিক সমৃদ্ধশালী গ্রন্থাগারগুলোর মধ্যে একটি রয়েছে । বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর সংখ্যা যথাক্রমে প্রায় ৯০০ জন ও ২৮ হাজার। এছাড়া ১৯৮০ সালে শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের নিমিত্তে চালু হয় শাটল ট্রেন সার্ভিস, বিশ্বব্যাপী যেটি কিনা একমাত্র চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়েই রয়েছে।
নয়া শতাব্দী/এসএম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ