চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) পঞ্চান্ন বছরের ইতিহাসে মাত্র চার বার সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে আলোচনা-সমালোচনা ও ক্ষোভের কোন অন্ত ছিল না।
এর আগে ২০২০ সালে বছর খানিকের মধ্যে একটি সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হওয়ার লক্ষ্যে পরিকল্পনা চলছে বলে জানিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. শিরীণ আখতার। যদিও কোভিড-১৯ পরিস্থিতির জন্য সেই সমাবর্তন বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে তেমন কোন অগ্রগতি পরিলক্ষিত হয়নি।
তবে মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) চবির ৫৬ তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপনের পরিকল্পনা জানানোর উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে কর্তৃপক্ষ। এ সময় সমাবর্তন নিয়েও সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন উপাচার্য।
উত্তরে তিনি বলেন, ২০২০ সালে সমাবর্তনের পরিকল্পনা ছিল আমাদের। তবে করোনার কারণে সেটি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। এমতবস্থায় আগামী বছর সমাবর্তনের পরিকল্পনা রয়েছে।
উল্লেখ্য যে, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দীর্ঘ ২৮ বছর পর ১৯৯৪ সালে প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। অতঃপর ১৯৯৯ সালে দ্বিতীয় ও ২০০৮ সালে তৃতীয় সমাবর্তন আয়োজিত হয়। সবশেষে ২০১৬ সালে চবির চতুর্থ ও শেষ সমাবর্তনটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল। যেখানে ২০০৪-২০১০ সাল পর্যন্ত স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এবং ২০০৮-২০১৩ সাল পর্যন্ত এমফিল, পিএইচডি সহ বিভিন্ন বিভাগে সাধারণ ডিগ্রিধারী ৭ হাজার ১৯৪ জনকে গ্র্যাজুয়েট সনদ দেওয়া হয়। সেইসঙ্গে ২৫ জনকে পিএইচডি, ১৩ জনকে এমফিল ডিগ্রি এবং ৯ জনকে প্রদান করা হয় চ্যান্সেলর পদক।
নয়া শতাব্দী/এসএম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ