ঢাকা, বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১৪ কার্তিক ১৪৩১, ২৬ রবিউস সানি ১৪৪৬

টোয়াস ফেলো নির্বাচিত হওয়ায় রাবি অধ্যাপক নকীবকে সংবর্ধনা

প্রকাশনার সময়: ১১ নভেম্বর ২০২১, ১৮:৪০

দ্যা ওয়ার্ল্ড একাডেমী অব সায়েন্সের (টোয়াস) এর ফেলো নির্বাচিত হওয়ায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীবকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তাকে এ সংবর্ধনা দেয়া হয়। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে তিনিই প্রথম টোয়াসের সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। আগামী বছর থেকে শুরু হয়ে আজীবন পর্যন্ত তিনি এর সদস্য থাকবেন।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব তার অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, আজকে এই পর্যন্ত আসার পেছনে বহু মানুষের দোয়া, সহায়তা ও ভালবাসা জড়িয়ে আছে। আমি বাবার ইচ্ছায় পদার্থ বিজ্ঞানে এবং মায়ের জন্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলাম। যেহেতু বাবা-মা দুজনই শিক্ষক ছিলেন। তাই বাড়িতে অনেক বই ছিল। ফলে ছোট থেকেই বইয়ের সঙ্গে একটা ভালো সম্পর্ক হয়ে ওঠে। গবেষণার বিষয়ে তিনি বলেন, একটি গবেষণা করতে গেলে পরিবেশ, প্রণোদনা ও ফান্ডিং প্রয়োজন হয়। কিন্তু সবচেয়ে বেশি দরকার প্যাশনের। প্যাশন ছাড়া একটি ভাল গবেষণা করা যায় না। বর্তমানে দেশে গবেষণার সংস্কৃতি অনেক শক্তিশালী ও বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু এই বৃদ্ধিটা কিছুটা এক কেন্দ্রিক। এর অর্থ শুধু সংখ্যায় বাড়ছে কিন্তু গবেষণার যে কোয়ালিটি থাকা দরকার সেটা হচ্ছে না। তাই গবেষণার প্রত্যেকটি বিষয় ভালোভাবে জেনে গবেষণা করা দরকার।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, অধ্যাপক নকীব কে দেখে মনে হয় যে, একটি মানুষ এতো অল্প সময়ে কতো কিছু করতে পারে। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের যে গতানুগতিক ধারা সেটা ধরে রেখেছেন। আশা করি এই বিভাগ ভবিষ্যতেও এই ধারা বজায় রাখবে। আমি এই বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি ব্র্যান্ড হিসেবে তৈরি করতে চাই। আমি বিশ্বাস করি নকীব তার জায়গা থেকে আমাদের পথ দেখাবে। আমি তার শিষ্যত্ব গ্রহণ করতে চাই।

পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক এম মজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী মো. জাকারিয়া ও অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক এম খলিলুর রহমান খান, ইমেরিটাস অধ্যাপক অরুণ কুমার বসাক প্রমুখ।

উল্লেখ্য, টোয়াস একটি মেধাভিত্তিক বিজ্ঞান একাডেমী যা উন্নয়নশীল দেশগুলোতে বিজ্ঞানের প্রতিনিধিত্ব করে। এর সদস্য হিসেবে নির্বাচনের প্রধান মানদণ্ড হলো বৈজ্ঞানিক উৎকর্ষ। কেবল সেই বিজ্ঞানীরা, যারা সর্বোচ্চ আন্তর্জাতিক মান অর্জন করেছেন এবং বিজ্ঞানের অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন, তাদেরকেই ফেলো হিসেবে মনোনীত করা হয়।

নয়া শতাব্দী/এসএম

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ