জাতীয় পরিচয় পত্র ছাড়া জন্ম নিবন্ধন দিয়ে কোভিড-১৯ টিকার রেজিষ্ট্রেশন করতে পারছেন না অনেক শিক্ষার্থী। এছাড়া জাতীয় পরিচয় পত্র দিয়ে রেজিষ্ট্রেশন করার পর এখনো টিকা না নিতে পারায় ভোগান্তির শিকার হচ্ছে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
গত ৩১ অক্টোবর থেকে নোবিপ্রবি ক্যাম্পাসে নোয়াখালী জেলা সিভিল সার্জন অফিসের সহযোগিতায় টিকা কার্যক্রম শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। প্রথমে ফাইজার টিকা দেওয়ার কথা বললেও পরবর্তীতে সিনোফার্ম টিকা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা।
টিকা গ্রহণকারীর সংখ্যা কম হওয়ায় সপ্তাহে একদিন টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। টিকা কেন্দ্রের স্বেচ্ছাসেবক নোবিপ্রবি বিএনসিসির সিইউও নুরুল আবছার নয়া শতাব্দীকে বলেন, ‘টিকা দেওয়া আপাতত বন্ধ আছে। যারা এনআইডি দিয়ে রেজিষ্ট্রেশন করেছে কিন্তু এখনো মেসেজ পাইনি তাদের ইনফরমেশন নেওয়া হচ্ছে। ইনফরমেশন সংগ্রহের জন্য প্রতিদিন দুইজন ভলেন্টিয়ার মেডিকেল সেন্টারে আছে।
এদিকে গত ৩১ অক্টোবর নোবিপ্রবির আবাসিক হলসমূহ খুলে দেওয়া হয়। কমপক্ষে এক ডোজ টিকা নেওয়ার শর্তে হলে উঠতে পারবে শিক্ষার্থীরা। এক্ষেত্রে যে সকল শিক্ষার্থীর জাতীয় পরিচয় পত্র নেই তারা বিপাকে পড়েছে।
কৃষি বিভাগের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী রাবেয়া খাতুন নয়া শতাব্দীকে জানান, ‘টিকা ছাড়া হলে উঠতে দিচ্ছে না হল কর্তৃপক্ষ, এ বিষয়ে কোনো সাহায্যও পাচ্ছি না। এনআইডি না থাকায় জন্ম নিবন্ধন দিয়ে নাম এন্ট্রি করেছি কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এখনো কিছুই করতে পারে নি। এদিকে হল খুললেও হলে না উঠে বাহিরে থাকতে হচ্ছে।’
আইন বিভাগের শিক্ষার্থী সাদিয়া আক্তার রিয়া বলেন, ‘আমরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছি, অনেকবার নোটিশ পেয়েছি যে আমরা এর সমাধান করতে পারবো কিন্তু কোনো কিছুরই কার্যকারিতা পাইনি এখন পর্যন্ত।’
সুরক্ষা ওয়েবসাইটে জন্ম নিবন্ধন নাম্বার দিয়ে রেজিষ্ট্রেশন করার অপশন থাকলেও কেন্দ্র হিসেবে শুধুমাত্র ঢাকা আসায় নোবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা রেজিষ্ট্রেশন করতে পারছেন না। এ বিষয়ে নোবিপ্রবি কোভিড-১৯ শনাক্তকরণ কেন্দ্রের ফোকাল পয়েন্ট ও মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. ফিরোজ আহমেদ নয়া শতাব্দীকে জানান, ‘সুরক্ষা ওয়েবসাইটে জন্ম নিবন্ধন নাম্বার দিয়ে রেজিষ্ট্রেশন করার বিষয়টি এখনো সমাধান হয় নি। ইউজিসির মাধ্যমে আমরা সমাধান করার চেষ্টা করছি। এর আগেও আমরা ইউজিসিতে তথ্য দিয়েছি কিন্তু তারা তা সুরক্ষাতে অন্তর্ভুক্ত করেনি এখন আমরা আবার তথ্য দিচ্ছি আশাকরি একাডেমিক ক্লাস শুরু হওয়ার আগেই আমরা শিক্ষার্থীদের টিকা নেওয়া নিশ্চিত করতে পারবো।’
উল্লেখ্য, আগামী ৯ নভেম্বর পর্যন্ত টিকা কার্যক্রম চলার কথা রয়েছে। যেখানে প্রায় পাঁচ হাজার টিকা প্রদান করার কথা বলা হয়েছে।
নয়া শতাব্দী/জেআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ