নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘সি’ ইউনিটে কমার্স বিভাগের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরীক্ষায় ১৩৬৯ জন পরীক্ষার্থীর মাঝে প্রায় ৯৫.২ শতাংশ পরীক্ষার্থী উপস্থিত ছিল।
সোমবার (১ নভেম্বর) দুপুর ১২ টা থেকে ১ টা পর্যন্ত ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে জিএসটি গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের স্নাতক প্রথমবর্ষ সমন্বিত ২০২০-২১ এর ভর্তি পরীক্ষার সমাপ্তি হয়।
শিক্ষার্থীদের যাতায়াত, থাকা-খাওয়ার সমস্যাসহ বিভিন্ন দুর্দশা লাঘবে প্রথমবারের মতো গুচ্ছ পদ্ধতিতে দেশের ২০টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। গত ১৭ই অক্টোবর ‘এ’ ইউনিটের পরীক্ষার মাধ্যমে শুরু হয় গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা। পরবর্তীতে ২৪শে অক্টোবর ‘বি’ ইউনিট এবং আজ ১ নভেম্বর ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে জিএসটি গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের ভর্তি পরীক্ষার সমাপ্তি হয়।
এ বিষয়ে নোবিপ্রবির সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা কমিটির আহবায়ক ও বাণিজ্য অনুষদের ডিন মো. সেলিম হোসাইন বলেন, ‘নোবিপ্রবিতে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে বিগত বছরগুলোতে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করতো এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের তরফ থেকে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরীক্ষা আয়োজনে সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হতো। এ বছরও কোভিড-১৯ পরিস্থিতিকে মাথায় রেখে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন স্বাস্থ্যবিধি মেনে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে পরীক্ষা গ্রহণ সম্পূর্ণ করেছে। বিগত তিনটি ইউনিটে পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে কোন ধরনের অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটে নি।
লক্ষীপুর থেকে আগত ভর্তি পরীক্ষার্থী টুটুল মহাজন জানান, ‘আলহামদুলিল্লাহ, পরীক্ষা ভালোমতো শেষ করলাম। তবে আইসিটি আর হিসাব বিজ্ঞান প্রশ্ন কঠিন মনে হয়েছে। কারণ পরীক্ষার হলে ক্যালকুলেটর ব্যাবহারের সুযোগ না থাকাতে ম্যাথ সমাধান করতে অসুবিধা হয়েছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি শিক্ষক, বিএনসিসির সদস্য থেকে শুরু করে সবাই অনেক হেল্পফুল ছিল।’
নোয়াখালী সরকারি কলেজে থেকে আগত ভর্তিচ্ছু ফারজানা হক জানান, ‘ক্যালকুলেটর ছাড়া আসলে হিসাববিজ্ঞানের অংকের সমাধান করা কঠিন। যেটা প্রায় প্রতিটা শিক্ষার্থী সম্মুখীন হয়েছেন। আর আমাদের পরীক্ষার হল পর্যন্ত পৌঁছাতে ক্যাম্পাসের স্বেচ্ছাসেবীরা অনেক সাহায্য করেছেন। সোনাপুর জিরো পয়েন্ট থেকে বিশ্ববিদ্যালয় আসা পর্যন্ত স্বেচ্ছাসেবীরা খুবই সাহায্য করেছেন। আর নোবিপ্রবির শিক্ষকরা অনেক আন্তরিক ছিল।’
ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকরা যেন নির্বিঘ্নে আসতে পারে সেজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে ও বাহিরের বিভিন্ন পয়েন্টে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন ছিল। এর পাশাপাশি নোবিপ্রবি বিএনসিসি ও রোভার স্কাউট সদস্যরা শৃঙ্খলা রক্ষার কাজ করে। এছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক এবং সামাজিক সংগঠনের সেচ্ছাসেবকদের দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়।
উল্লেখ্য, তিন ইউনিট মিলিয়ে প্রায় সাড়ে ছয় হাজার শিক্ষার্থী নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিয়েছেন।
নয়া শতাব্দী/জেআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ