ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

নোবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা পাচ্ছেন সিনোফার্ম টিকা

প্রকাশনার সময়: ৩১ অক্টোবর ২০২১, ২১:৩০ | আপডেট: ৩১ অক্টোবর ২০২১, ২১:৪২

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আজ থেকে আগামী ৯ই নভেম্বর পর্যন্ত সিনোফার্ম টিকা নিতে পারবে শিক্ষার্থীরা।

রোববার ( ৩১ অক্টোবর) সকাল ১১ টায় নোবিপ্রবির মেডিকেল সেন্টারে কোভিড-১৯ টিকা প্রদান কর্মসূচীর শুভ উদ্বোধন করেন নোবিপ্রবি উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. দিদারুল আলম। নোবিপ্রবি মেডিকেল টীম, বিএনসিসি এবং রোভার স্কাউট সদস্যদের সহায়তায় সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ৩ টা পর্যন্ত টিকা প্রদান কর্মসূচী পরিচালিত হয়। এই টিকা প্রদান কর্মসূচী আগামী ৯ই নভেম্বর পর্যন্ত চলবে।

সুরক্ষা ওয়েবসাইটে রেজিষ্ট্রেশন করার পর যাদের ১ম ডোজ দেওয়ার এসএমএস এসেছে তারা আজকে সিনোফার্মের ১ম ডোজ নিতে পেরেছে এবং যাদের ২য় ডোজের এমএমএস এসেছে তারা ২য় ডোজ নিতে পেরেছে। টিকা কার্যক্রমের তত্বাবধান করছেন নোবিপ্রবি মেডিকেল সেন্টার ও কোভিড-১৯ সনাক্তকরণ কেন্দ্র। টিকা কার্যক্রম পরিচালনায় ভলেন্টিয়ার হিসেবে দায়িত্বপালন করেন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বিএনসিসি এবং রোভার স্কাউটের সদস্যরা।

টিকা প্রদান করা কমিটি থেকে জানা যায়, যেসব শিক্ষার্থী টিকার রেজিষ্ট্রেশন করেছে এবং টিকার কোনো ডোজ নেয়নি, তারা সহজেই টিকার ১ম ডোজ নিতে পারছে এবং এক মাস পর তাদের ২য় ডোজ দেওয়া হবে। এছাড়াও যারা টিকার রেজিষ্ট্রেশন করেছে কিন্তু এসএমএস পায়নি এবং যাদের শুধুমাত্র জন্মনিবন্ধন কার্ড আছে, তাদের টিকা প্রদানেও ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এছাড়াও টিকা নেওয়ার পর শারীরিক অসুস্থতা দেখা দিলে অবজারভেশনে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, ‘সবার সহযোগীতায় শিক্ষার্থীদের কোভিড-১৯ টিকা প্রদান সম্ভব হচ্ছে। এর মাধ্যমে নোবিপ্রবির প্রায় ৫ হাজার শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসেই কোভিড-১৯ এর টিকা নিতে পারবেন। টিকা নিলেও ব্যক্তিগত সতর্কতা অবশ্যই বজায় রাখতে হবে। যতদিন করোনা থাকবে সবাইকে মাস্ক পরতে হবে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।’

এসময় নোবিপ্রবিতে টিকা প্রদানের সাথে সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তিনি। টিকা প্রদানে সহযোগীতার জন্য জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয় ও উপজেলা স্বাস্থ্য অফিসকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান উপাচার্য।

টিকা নিতে আসা এগ্রিকালচার বিভাগের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী মো. গোলাম কিবরিয়া নয়া শতাব্দীকে জানান, ‘নিজের ক্যাম্পাসে টিকা দিতে পেরে অন্য রকম ভালো লাগা কাজ করেছে। টিকা দিয়ে কোনোরকম পার্শ্বপ্রতিক্রয়া অনুভব করিনি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের টিকা দেওয়ার কার্যক্রমও সুন্দর ছিল।’

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল বাকি, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফারুক উদ্দিন, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর, সাধারণ সম্পাদক মাজনুর রহমান, নোবিপ্রবির মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের চেয়ারম্যান ও কোভিড-১৯ সনাক্তকরণ কেন্দ্রের ফোকাল পয়েন্ট প্রফেসর ড. ফিরোজ আহমেদ, নোবিপ্রবি মেডিকেল সেন্টারের সিনিয়র মেডিকেল অফিসার ডা. ইসমাত আরা পারভিন, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শায়লা সুলতানা ঝুমা, নোয়াখালী জেলা সিভিল সার্জন অফিসের ডাক্তারসহ হলের প্রভোস্ট, ইন্সটিটিউটের পরিচালক, ফ্যাকাল্টির ডিন, কর্মকর্তারা।

নয়া শতাব্দী/জেআই

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ