জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাককানইবি) উৎসবমুখর পরিবেশে গুচ্ছ পদ্ধতির ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সকলের সহযোগীতায় সুশৃঙ্খলভাবে, স্বাস্থবিধি মেনে, সুষ্ঠুভাবে এই পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। তবে পরীক্ষার হলে ঘড়ি না থাকায় পরীক্ষার্থীরা আক্ষেপ জানিয়েছেন।
রোববার (২৪ অক্টোবর) একযোগে বাংলাদেশের ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে দুপুর ১২টায় শুরু হয়ে ১ টায় শেষ হয় ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ভর্তির এই গুচ্ছ পরীক্ষা। পরীক্ষায় অংশ নেয়া অধিকাংশই ছিল মেয়ে শিক্ষার্থী। পরীক্ষা শেষে পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে পাওয়া গেছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। তাদের কারও কারও অভিযোগ ছিল, জাককনইবি পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশের সময় কিছুটা ভিড় ছিল এবং পরীক্ষার হলে ঘড়ি না থাকায় সময় নিয়ে তাদের সমস্যায় পড়তে হয়েছে।
কেউ কেউ আবার ক্যাম্পাসের প্রশংসাও করেছেন। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বেচ্ছাসেবক টিম ও বিভিন্ন জেলা এসোসিয়েশন এর উপকার স্বীকার করে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কলম বিতরণ, অভিভাবকদের বসার ব্যবস্থা এবং সুপেয় পানির ব্যবস্থা অভিভাবকদের মুগ্ধ করেছে। পরীক্ষা শেষে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের ‘এসো নবীন দলে দলে, ছাত্রলীগের ছায়া তলে’ স্লোগানে ক্যাম্পাস মুখরিত হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল কমিটি জানায়, ‘ভর্তি পরীক্ষায় ভর্তিচ্ছু সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে পরীক্ষা শুরু হওয়ার আধা ঘণ্টা আগেই পরীক্ষার হলে প্রবেশ করানোর চেষ্টা করেছি। পরীক্ষা চলাকালে পুরো ক্যাম্পাস এরিয়ায় ১৪৪ ধরা বলবৎ ছিল। আর পরীক্ষার্থীদের সার্বিক নিরাপত্তার ব্যাপারে আমরা সোচ্চার ছিলাম।’
পরীক্ষা চলাকালীন হল ও অভিভাবকদের বসার জায়গা পরিদর্শন করেন জাককানইবি উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান। এসময় তিনি বলেন, ‘সার্বক্ষণিক নিরাপত্তায় রেখে পরীক্ষার প্রশ্নগুলো আমরা খুব সুন্দরভাবে হলগুলোতে বণ্টন করেছি। কোনো ধরনের সমস্যা হয়নি। আর কেন্দ্রীয় কমিটির সঙ্গে আমাদের সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রয়েছে। এছাড়াও অভিভাবকদের সুপেয় পানি ও বসার ব্যবস্থা করায় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।’
নয়া শতাব্দী/জেআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ