আগামী ৩১শে অক্টোবর থেকে আবাসিক হল খোলার সিদ্বান্ত নিয়েছে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি) কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার (২২ অক্টোবর) হল খোলা সংক্রান্ত জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. দিদার- উল আলম।
সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩টি চলমান হল আব্দুল মালেক উকিল হল, বিবি খাদিজা হল এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের শিক্ষার্থীদের নূন্যতম এক ডোজ টিকা নেওয়ার সনদ ও হলের বৈধ কাগজপত্র দেখানো সাপেক্ষে হলে উঠার সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম কবে থেকে শুরু হবে এখনো সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয় নি প্রশাসন।
সভায় ৩১শে অক্টোবর (রবিবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের হলসমূহের আবাসিক শিক্ষার্থীদের অন্তত এক ডোজ টিকা নেওয়ার সনদ ও হলের বৈধ কাগজপত্র দেখানো সাপেক্ষে আবাসিক হলে উঠানোর জন্য সুপারিশ করা হয়।
এ বিষয়ে আব্দুল মালেক উকিল হলের প্রোভোস্ট সহযোগী অধ্যাপক ড. মেহেদী হাসান রুবেল বলেন, “কমপক্ষে এক ডোজ টিকা গ্রহণের সনদ ও হলের বৈধ কাগজপত্র দেখানো সাপেক্ষে আমরা হলে শিক্ষার্থীদের উঠাবো। এক্ষেত্রে অবৈধ কোন শিক্ষার্থীকে হলে উঠানো হবে না। যাদের করোনা টিকার ডোজ বাকি আছে তারা বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টার থেকে বাকি ডোজ নিতে হবে।”
হল খোলার প্রস্তুতি নিয়ে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হলের প্রোভোস্ট মো. শাহীন কাদের ভূঁইয়া বলেন, "শিক্ষার্থীদের বসবাসের জন্য উপযোগী করে তুলতে প্রয়োজনীয় সকল প্রস্তুতি নেওয়া হবে। আশা করি, ৩১ অক্টোবরে শিক্ষার্থীদের সুন্দরভাবে আমরা বরণ করে নিতে পারবো।"
এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) রেজিস্ট্রার অফিস কর্তৃক প্রকাশিত এক নোটিশে বলা হয়, আগামী কয়েকদিনের মধ্যে নোবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে টিকা নিতে পারবে। যে সকল শিক্ষার্থী কোভিড-১৯ টিকার জন্য এখনো রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন করেনি তাদেরকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালকে কেন্দ্র হিসাবে নির্বাচন করে আগামী ২৬ অক্টোবর ২০২১ এর মধ্যে রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছে নোবিপ্রবি প্রশাসন।
উল্লেখ্য, গতবছরের মার্চ মাসে করোনা মহামারির কারণে নোবিপ্রবির হল সমূহ বন্ধ হয়ে যায়। দীর্ঘ ১৯ মাস পরে আবার নোবিপ্রবির হল খুলে দেওয়া হচ্ছে। এতে করে শিক্ষার্থীদের মাঝে একধরনের আনন্দ এবং উচ্ছ্বাস কাজ করছে।
নয়া শতাব্দী/এম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ