ঢাকা, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

সিনিয়র-জুনিয়র মারামারি, আহত ১০

প্রকাশনার সময়: ১৫ অক্টোবর ২০২১, ০৩:২২

সিনিয়রকে নাম ধরে ডাক দেয়াকে কেন্দ্র করে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) দুই ব্যাচের সিনিয়র-জুনিয়রের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে।

বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দুই ব্যাচের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হল শাখা ছাত্রলীগের কর্মী এবং পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ১৩ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী রিয়াজুল ইসলাম বাধন নিজের রুমে নৃবিজ্ঞান বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী তানজিম আহমেদ সোহাগের নাম ধরে ডাকেন। ওই রুমের বাসিন্দা সোহাগের বন্ধু ওয়াকিল বিষয়টি শুনলে ১২তম ব্যাচের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী শাফী, সোহাগ ও ওয়াকিল ২০০৩ নং রুমে বাধনকে ডেকে শাসান। এক পর্যায়ে বাধনকে তারা চড় মারেন।

পরে বাধন ১৩ তম ব্যাচের তার বন্ধুদের বিষয়টি জানালে ঐ ব্যাচের সবাই একত্রিত হয়ে রাতে সাড়ে ১০ টার দিকে ২০০৩ নং রুম থেকে শাফীকে ডেকে নিয়ে যান ১৩ তম ব্যাচের সাদমান। এ সময় ১৩তম ব্যাচের হানিফ, সাদমান, মিরাজ, রবিনসহ ৮ থেকে ১০ জন শাফীকে এলোপাথাড়ি মারধর করেন। পরে হল শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ১৩ তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদেরকে ৩০৩ নং রুমে ডেকে নিয়ে একদফা মারধর করেন। পরে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম মাজেদের রুমে (৩০১) ডেকে নিয়ে বিচারের নামে আধা ঘন্টা ধরে ফের তাদেরকে মারধর করেন শাখা ও হল ছাত্রলীগের নেতারা। এসময় ১৩ তম ব্যাচের বেশ কয়েকজন আহত হন।

এ বিষয়ে ১৩ তম ব্যাচের কর্মী হানিফ ভূইয়া বলেন, আমাদের বন্ধুকে মারধরের বিষয়ে জানতে তাদের রুমে যাই৷ তবে সেখানে আমরা কাউকে আঘাত করি নি। ১২ তম ব্যাচের কর্মী শাফি হাসান বলেন, আমি হলের সিনিয়র হিসেবে জুনিয়রদের আচরণের বিষয়ে তাদের বুঝিয়ে বলি। কিন্তু তারা এসে আমাকে বেধড়ক মারধর শুরু করে। আমি এর বিচার চাই।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাফিউল আলম দীপ্ত বলেন, হলের অভ্যন্তরীণ একটি বিষয়ে ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের সাথে ১৩ তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের উচ্চাবাক্য বিনিময় হয়। আমি সহ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক বসে বিষয়টি মীমাংসা করে দিয়েছি। শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম মাজেদ বলেন, আজকের ঘটনায় জড়িত সকলে হল শাখা ছাত্রলীগের কর্মী। নিজেদের মধ্যে ভুল বুঝাবুঝি থেকে হাতাহাতি হয়েছে। আমরা সিনিয়রদের সাথে বসে বিষয়টি সমাধান করেছি।

শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের প্রভোস্ট ড. মোহাম্মদ জুলহাস মিয়া মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমি জানতে পেরেছি। এটি হলের অভ্যন্তরীণ বিষয়, আমরা বসে বিষয়টি সমাধান করে দিব।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন বলেন, আবাসিক হলের বিষয়গুলো প্রভোস্ট দেখভাল করেন। হল প্রভোস্ট সহ হলের যারা দায়িত্বে রয়েছেন তারা প্রক্টর বরাবর অভিযোগ দিলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।

নয়া শতাব্দী/এমআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ