ঢাকা, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

৮৪ আসন ফাঁকা রেখেই নোবিপ্রবির ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন

প্রকাশনার সময়: ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮:৪৬

৮৪টি আসন ফাঁকা রেখেই ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি)।

বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেন নোবিপ্রবি রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ তামজিদ হোসাইন চৌধুরী।

নোবিপ্রবি রেজিস্ট্রার দপ্তরের তথ্যমতে, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে নোবিপ্রবিতে মোট আসন সংখ্যা ছিলো ১৪৮৩টি। যেখানে সাধারণ ক্যাটাগরিতে ১৪১৭টি এবং কোটায় ছিলো ৬৬টি আসন। সর্বশেষ গত ৮ ডিসেম্বর ৬ষ্ঠ ধাপে ভর্তি কার্যক্রমের মাধ্যমে মোট ১৩৯৯ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়। যেখানে সাধারণ ক্যাটাগরিতে ১৩৩৩ জন এবং কোটায় ৬৪ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়৷ সাধারণ ক্যাটাগরিতে ৮২ এবং কোটায় ২ টিসহ মোট ৮৪ আসন ফাঁকা রেখেই ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ করেছে নোবিপ্রবি।

শূন্য আসনগুলোর মধ্যে রয়েছে- শিক্ষা বিভাগে ১৯, সমাজকর্ম বিভাগে ১৩, বাংলা বিভাগে ৯, সমুদ্র বিজ্ঞান বিভাগে ৬, শিক্ষা প্রশাসন বিভাগে ৫, আইএসএলএম বিভাগে ৪, মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগে ৪, ফিমস বিভাগে ৩, সমাজ বিজ্ঞান বিভাগে ৩, অর্থনীতি বিভাগে ৩, পরিসংখ্যান বিভাগে ২, এফটিএনএস বিভাগে ২, ইংরেজি বিভাগে ২, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগে ২, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগে ২, বিএমবি বিভাগে ১, ইএসডিএম বিভাগে ১, কৃষি বিভাগে ১, প্রাণিবিদ্যা বিভাগে ১ এবং এমআইএস বিভাগে ১টি।

এবিষয়ে নোবিপ্রবি রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ তামজিদ হোসাইন চৌধুরী জানান, গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যদের মিটিংয়ের মাধ্যমে ভর্তি কার্যক্রম বন্ধের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। এক্ষেত্রে ৮৪টি আসন ফাঁকা রেখেই ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে।

নোবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল নয়া শতাব্দীকে বলেন, গত শনিবার ২১ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যদের মিটিং এ ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি কার্যক্রম বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে নোবিপ্রবিতে অনেক আসন ফাঁকা থাকা সত্বেও আমরা আর শিক্ষার্থী ভর্তি নিতে পারছি না। যদিও মিটিং এ নোবিপ্রবিসহ আরো কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শূন্য আসন পূরণের জন্য বিশেষ মাইগ্রেশান দিয়ে ভর্তির বিষয়ে প্রস্তাব করেছিলাম কিন্তু অধিকাংশ উপাচার্যের মতামত ছিলো গুচ্ছভুক্ত সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একই নিয়ম প্রযোজ্য হোক। সেই সিদ্ধান্ত মোতাবেক আসন খালি রেখে ২০২৩-৩৪ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

আসন ফাঁকা রেখেই ভর্তি কার্যক্রম বন্ধের জন্য গুচ্ছ পদ্ধতির জটিল প্রক্রিয়াকে দায়ী করে নোবিপ্রবি উপাচার্য বলেন, এ বছর গুচ্ছে থাকার জন্য এখন পর্যন্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয় তিনটি চিঠি দিয়েছে। সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রয়োজনে আমরা গুচ্ছে থাকবো। তবে অন্যান্য সমপর্যায়ের বিশ্ববিদ্যালয় যদি গুচ্ছ থেকে বের হয়ে যায় তাহলে এই পদ্ধতি থেকে বের হওয়ার বিষয়ে আমরা একাডেমিক কাউন্সিলের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিবো৷ গুচ্ছ থেকে বের হওয়ার সেই সক্ষমতা আমাদের আছে৷

নয়া শতাব্দী/এসআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ