নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) নবনিযুক্ত কোষাধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হানিফ (মুরাদ)। গতকাল রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর এর অনুমোদনক্রমে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের প্রজ্ঞাপন জারির পর আজ সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করেন। তিনি নোয়াখালীতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালীন শিক্ষার্থীদের সাথে অংশগ্রহণ করেন।
যোগদানের পর কোষাধ্যক্ষ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পন করেন। পরে তাকে নোবিপ্রবি বিএনসিসির পক্ষ থেকে গার্ড অব অনার প্রদার করা হয়। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রেজওয়ানুল হকসহ শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
শিক্ষার্থীদের সাথে আন্দোলনে অংশগ্রহণ করা শিক্ষককে কোষাধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার বিষয়ে নোবিপ্রবি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক বনী ইয়ামিন বলেন, আন্দোলন পরবর্তী সময়ে আমরা চেয়েছি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান তিনটি প্রশাসনিক পদ উপাচার্য, উপ-উপাচার্য এবং কোষাধ্যক্ষ পদে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নিয়োগ দেওয়া হোক। কিন্তু পরবর্তীতে উপাচার্য এবং উপ-উপাচার্য পদে বাহিরের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নিয়োগ দিলে আমাদের প্রধান দাবি ছিলো কোষাধ্যক্ষ পদে যেন আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী কোনো শিক্ষককে নিয়োগ দেওয়া হয়৷ সে হিসেবে হানিফ মুরাদ স্যারকে কোষাধ্যক্ষ হিসেবে পেয়ে আমরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছি। যারা আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের পাশে থেকে অভিভাবকের ভূমিকা পালন করেছে তারা দায়িত্বপালনের সময় শিক্ষার্থীদের অধিকারকেই প্রাধান্য দিবে এই আশা ব্যক্ত করছি৷
কোষাধ্যক্ষ হিসেবে ড. হানিফ মুরাদকে নিয়োগ দেওয়ায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে আরেক সমন্বয়ক আলজকি হোসেন বলেন, স্যার আমাদের সাথে আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছেন। আমরা তাকে দেখে আন্দোলনে অনুপ্রাণিত হয়েছি। স্যারকে কোষাধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দেওয়ায় আমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আশাকরি তিনি শিক্ষার্থীদের অধিকার রক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করবেন।
নোবিপ্রবির কোষাধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ পেয়ে ফলিত গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হানিফ মুরাদ বর্তমান সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, প্রথমেই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং যারা অসুস্থ হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে আছে তাদের সুচিকিৎসার দাবি করছি। নোয়াখালী মাইজদীতে শিক্ষার্থীদের সাথে সরাসরি আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছি৷ শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলনে যখন শিক্ষক সমাজ চুপ ছিলো তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাত্র গুটিকয়েক শিক্ষক শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়েছি।
বৈষম্যহীন একটি বিশ্ববিদ্যালয় গড়ার প্রত্যয় নিয়ে নবনিযুক্ত কোষাধ্যক্ষ বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা যে স্বপ্ন নিয়ে এই নতুন বাংলাদেশ স্বাধীন করেছে, তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে অংশীদার হবো এই অঙ্গীকার করছি। আমার দিক থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো যেন বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি সুন্দর ক্যাম্পাসে পরিণত করতে পারি। বিশেষ করে উপাচার্য মহোদয়ের স্বপ্ন, উনি যে চিন্তা করছেন বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে, নির্দিষ্ট একটা র্যাংকিংয়ে নিয়ে যাবেন, রানিং ম্যাট হিসেবে আমার পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহোযোগিতা উপাচার্য মহোদয়কে করবো।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ