সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আলিমুল ইসলাম বলেন, জুলাই বিপ্লবে যদি নতুন করে স্বাধীনতা অর্জন করতে না পারতাম তাহলে এভাবে প্রাণ খুলে কথা বলতে পারতাম না, আবারো পাকিস্তান আমলের মত আমাদের বাকশক্তি স্বাধীনতা হারিয়ে ফেলতাম। পাকিস্তানি বাহিনী যেভাবে বাংলাদেশকে শোষণ ও নিপীড়ন করেছিল ঠিক ২৪ এর আগেও দেশীয় কিছু কতিপয় স্বৈরাচার দেশের সাধারণ মানুষকে নিপীড়ন, শোষণ ও অত্যাচার করেছে।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও বিজয় দিবসের শোভাযাত্রা শেষে আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।
সিকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আলিমুল ইসলাম বলেন, ‘৭১ সালে পাকিস্তানিদের অত্যাচার, শোষণের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করেছিলাম দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী স্বাধীনতা সংগ্রামের মধ্য দিয়ে। বর্তমান প্রজন্মের অনেকেই এই মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে জানে না, সচেতন নয়। আমাদের সকলের উচিত মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তুলে ধরা, সেই সাথে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা ও শ্রদ্ধা নিবেদন করা। ৭১' রের স্বাধীনতা যুদ্ধে যারা দেখেন নাই আমার মনে হয় ২৪ এর জুলাইয়ে তারা সেই স্বাধীনতা সংগ্রাম দেখেছে কারণ এ সময় মানুষের বাক শক্তি স্বাধীনতা গ্রহণ করা হয়েছিল দেশীয় স্বৈরাচার দ্বারা। তারা আয়নাঘর নামক স্থানে মানুষজনকে অমানবিক নির্যাতন করতো যেটা বাঙালি হিসেবে মেনে নিতে খুবই কষ্ট হয় ।
আমরা যেন বৈষম্যহীনভাবে স্বাধীন দেশ নতুন করে উপভোগ করতে পারি যেন আর অন্য কারো দ্বারা মানুষ নিপীড়িত না হয়।’সিকৃবি উপাচার্যের পুষ্পস্তবক দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে একে একে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটি, ডিন কাউন্সিল, প্রক্টর কার্যালয়, হ্যারেজমেন্ট সেল, বিভিন্ন অনুষদ ও হল, আঞ্চলিক জেলা সমিতি, কর্মকর্তা পরিষদ, কর্মচারী পরিষদ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠনের মধ্যে বাঁধন, পাঠশালা একুশ, ডিবেটিং সোসাইটিসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়।
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে অধ্যাপক সামিউল ইসলাম তালুকদারের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক মো. এমদাদুল হক, রেজিস্ট্রার জনাব মো. আশরাফুজ্জামান, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদ্যোগে দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে ছিল শিশুদের দৌড় প্রতিযোগিতা, ছাত্র, শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী ভলিবল প্রতিযোগিতা, বাদ জোহর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে দোয়া এবং রাতে হলসমূহে উন্নত মানের খাবার পরিবেশন করা হবে।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ