চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) গত ২৩ অক্টোবর উদ্বোধন হওয়া ব্যায়ামাগারে নেই শৌচাগারের ব্যবস্থা। এতে ব্যায়ামাগারে এসে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।
জানা যায়, ব্যায়ামাগারে বিভিন্ন সুবিধা নিশ্চিত করা হলেও শৌচাগারের কোনো ব্যবস্থা নেই। বিষয়টিকে একটি বড় অসুবিধা হিসেবে ব্যবহারকারীরা প্রথম থেকেই উপলব্ধি করে আসছেন। শৌচাগারের অভাবে ব্যায়ামাগারে আসা অনেক ব্যবহারকারী, বিশেষত নারী শিক্ষার্থীরা এ সমস্যার বেশি সম্মুখীন হচ্ছেন। যারা দীর্ঘ সময়ে ব্যায়ামাগারে অনুশীলন করেন, তাদের দাবি, দ্রুততম সময়ে শৌচাগারের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হোক।
এ বিষয়ে তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সামিউল ইসলাম কদর বলেন, ওয়াশরুম না থাকাটা বেশ বড় একটা সমস্যা হয়ে উঠেছে। জিমনেসিয়াম ব্যবহার পরবর্তী বা ব্যবহার করার সময়েই ওয়াশরুম ব্যবহারের প্রয়োজন হলে ছেলেদের বাধ্য হয়ে শেখ রাসেল হলের ওয়াশরুমে যেতে হয়। যা বেশ কষ্ট সাপেক্ষ। মেয়েদের জন্য এটা আরো বড় আকারের সমস্যা। কারণ তাদেরকেও হল পর্যন্ত যেতে হয়, যা তুলনামূলকভাবে অনেক দূরে। সেসব দিক বিবেচনায় এখানে একটি ওয়াশরুম খুবই প্রয়োজন।
যন্ত্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সামিহা আঞ্জুম বলেন, জিমনেসিয়ামের অন্যান্য সুবিধাগুলো ভালো হলেও ওয়াশরুম না থাকায় রিফ্রেশ হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। ঘর্মাক্ত অবস্থায় জিম থেকে বের হতে হয় যা যে কারো জন্যই অস্বস্তিকর।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রকল্যাণ দপ্তরের উপ-পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম নয়া শতাব্দীকে বলেন, পুনরায় বাজেট বরাদ্দ করে শৌচাগার ব্যবস্থাপনা সংযুক্তির পরিকল্পনা চলছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এই বাজেট বরাদ্দ হবে কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যাবে।
তিনি আরো জানান, বাজেট বরাদ্দ না হলেও অন্য কোন উপায়ে শৌচাগার ব্যবস্থাপনা সংযুক্তির জন্য প্রশাসন ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ