ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

প্যারাসিটামল দিয়েই চলছে বশেমুরবিপ্রবি মেডিকেল সেন্টার

প্রকাশনার সময়: ২০ নভেম্বর ২০২৪, ১৯:১৮

জ্বরের ঔষধ প্যারাসিটামল দিয়েই চলছে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) মেডিকেল সেন্টার। এতে নিয়মিত জরুরি চিকিৎসা সেবার অভাবে নানাবিধ ভোগান্তিতে ভুগছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। প্রয়োজনীয় ঔষধ না পাওয়ায় বাহিরের ফার্মেসি থেকে বেশি টাকা খরচ করে ঔষধ কিনতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সমস্যাগ্রস্থ শিক্ষার্থীরা চিকিৎসার জন্য মেডিকেল সেন্টারে গেলে হাতে একটি প্রেসক্রিপশন ধরিয়ে দেয়া হচ্ছে এবং প্যারাসিটাম, এলাট্রল ও এন্টাসিড দিয়ে বাকি ঔষধ বাহির থেকে ক্রয় করার কথা বলে দেয়া হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা কারণ জিজ্ঞেস করলে অন্য কোনো ঔষধ স্টকে নেই বলে জানায় কতৃপক্ষ। এ ছাড়াও নিয়মিত অফিসে পাওয়া যায় না সিনিয়র মেডিকেল অফিসারকে। কিন্তু চিকিৎসা ফি বাবদ ঠিকই প্রতি সেমিস্টারে ২০০ টাকা ফি গুনছেন প্রতিটি শিক্ষার্থী।

মেডিকেল সেন্টারের নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন বায়োসাইন্স বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী জাকিউর রহমান সরকার বলেন, ‘ক্যাম্পাসে প্রায় ১৩ হাজার স্টুডেন্ট, প্রতি সেমিস্টারে ২০০ টাকা দিয়ে থাকি, ক্যাম্পাস লাইফ প্রায় ৬ বছর হতে চললো কিন্তু আমাদের মেডিকেল সেন্টারে পর্যাপ্ত পরিমাণে ঔষধ সাপ্লাই থাকে না। আপনি মেডিকেলে যেকোনো ধরনের রোগের জন্য যাবেন, আপনার হাতে প্যারাসিটামল, এলাট্রল, এন্টাসিড, ফ্যামোট্যাক ধরিয়ে দেয়। যদি জিজ্ঞেস করি এসব ঔষধ সবাইকে দেওয়া হচ্ছে, তারা বলে প্রশাসন আমাদের এসবই সাপ্লাই করে। দিনের পর দিন এই একই ঔষধে কতদিন চলবে? যদি বলি ঠান্ডা তো অনেক বেশি একটু মন্টিলুকাস দেওয়া যায় না, তারা বলে শেষ কবে এই ঔষধ স্টকে ছিলো জানি না, ফেক্সো পর্যন্ত থাকে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘সবাই নিম্নবিত্ত এবং মধ্যবিত্ত পরিবারের স্টুডেন্ট, মেডিকেল থেকে যদি নুন্যতম ফান্ডামেন্টাল ট্রিটমেন্ট না পাই তাহলে এই মেডিকেল সেন্টার থেকে কি লাভ হচ্ছে? আমি তো শুধু এজ ইউজুয়াল যেগুলো ঔষধ দরকার সেটা বললাম, যন্ত্রপাতির কথা বাদ দিলাম। প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, স্টুডেন্ট এর মৌলিক চাহিদা চিকিৎসা, সেটার ব্যবস্থা দ্রুত সময়ে করবেন আশাকরি।’

এ বিষয়ে সিনিয়র মেডিকেল অফিসার ডা.অভিষেক বিশ্বাস বলেন, ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯ ধরনের ঔষধ দেয়া হয়, যা বাংলাদেশের যেকোন বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকে বেশি। যদি কারোর ঠান্ডা বা জ্বর হয় তার তো এ্যালাটল বা প্যারাসিটামল বাদে অন্য কিছু দেওয়ার সুযোগ আছে কি? শিক্ষার্থীদের যেটা লাগে যে অনুযায়ী প্রেসক্রিপশন করা হয় এবং দামি দামি এন্টিবায়োটিক, ব্যাথার ঔষধ, ইনজেকশন পায়। যে ঔষধগুলোর সাপ্লাই আছে সেগুলো অব্যশই পায়, কিছু ঔষধ মাঝে মাঝে শেষ হয়ে যায়, গত জুন মাসের থেকে যে ঔষধ নেওয়া হয়েছিল তার বিল আজ অবধি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন দিতে পারে নাই।’

এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. মোরাদ হোসেন বলেন, ‘আমি কতৃপক্ষের সাথে এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবো এবং পরে কোন ব্যবস্থা নেওয়া যায় কিনা দেখবো।’

এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হোসেন উদ্দিন শেখরের সঙ্গে ফোনে অনেকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

নয়া শতাব্দী/এসআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ