দিনভর উপাচার্য অবরুদ্ধ থাকার পর বেলা সাড়ে ৪টার দিকে তদন্ত কমিটির তদন্তকালে প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোজাম্মেল হক দায়িত্বে থাকবেন না এবং বাকি দাবিগুলো শীঘ্রই কার্যকর হওয়ার আশ্বাস দিলে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন স্থগিত করেছে শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) প্রক্টর, রেজিস্টারের পদত্যাগসহ ৮ দফা দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে বিক্ষোভ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
সকাল সাড়ে ১০টার থেকে ক্যাম্পাসে অবস্থান নিয়ে দফায় দফায় মিছিল করেন। এ সময় প্রশাসনিক ভবনে তালা দিলে ভেতরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আলিমুল ইসলামসহ ৫০ জন শিক্ষক কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
দিনভর উত্তেজনা পরিস্থিতি শেষে বিকেল সাড়ে চারটায় প্রশাসনিক ভবনের নিচে অবস্থান নেওয়া শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেন উপাচার্য। এসময় তিনি শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো মেনে নেওয়ার আশ্বস্ত করেন।
এদিকে দাবি মেনে নেয়ায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে সোহেল আহমেদ অয়ন কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, আমাদের ৮ দফা দাবির মধ্যে মূল দাবি ছিল প্রক্টরের পদত্যাগ। তবে প্রশাসন তদন্তের সময় চেয়েছে। তখন আমরা বলেছিলাম যদি তদন্ত হয় সেক্ষেত্রে তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ার আগ পর্যন্ত তাকে সাময়িক বরখাস্ত করতে হবে। উপাচার্য এ বিষয়টি মেনে নিয়েছেন। কাল লিখিত আকারে দিলে পরশুদিন থেকে ক্লাস পরীক্ষা চালু থাকবে।
রেজিষ্ট্রার ও জনসংযোগ কর্মকর্তার পদত্যাগের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, তাদের পদত্যাগ দাবি যে কারণে ছিল সেটি ভুলক্রমে হয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এজন্য তারা ক্ষমা চেয়েছে এবং আমরা মেনে নিয়েছি এবং তারা বাকি দাবিগুলোও মেনে নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, ভর্তি পরীক্ষার রাতে সিকৃবিতে ব্যানার ছেঁড়াকে কেন্দ্র করে ছাত্রদলের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনাকে ‘ছাত্রদলের সাথে ছাত্রলীগ সমর্থিত শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ’ বলা ও ব্যানার ছেঁড়ার ঘটনাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃক রাষ্ট্রদ্রোহী কর্মকাণ্ড বলার প্রতিবাদে (২৭ অক্টোবর) থেকে ক্লাস পরীক্ষা বর্জন, প্রশাসনিক ভবন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সব অনুষদে তালা দেন শিক্ষার্থীরা।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ