ঢাকা, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কৃষিগুচ্ছে বাকৃবি কেন্দ্রের উপস্থিতি ৭৮.১৬ শতাংশ, বহিস্কার ১

প্রকাশনার সময়: ২৫ অক্টোবর ২০২৪, ১৮:৫৮

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের নয়টি কৃষি বিষয়ক ডিগ্রি প্রদানকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের কৃষিগুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হযেছে।

শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) সকাল ১১টায় একযোগে দেশব্যাপী ৮টি মূল কেন্দ্র ও ৩টি উপকেন্দ্রে শুরু হয় কৃষিগুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা।

এবারের পরীক্ষায় মোট ৭৫ হাজার ১৭ জন পরীক্ষার্থীর আসন বিন্যাস করা হয়। এরমধ্যে বাকৃবি কেন্দ্রে আসন পড়েছে মোট ১২ হাজার ৬শ ৩৪ জন পরীক্ষার্থীর। এ ছাড়াও মোবাইল ফোন রেখে নকল করার অভিযোগে একজন পরীক্ষার্থীকে বহিস্কার করা হয়েছে।

বাকৃবি কেন্দ্রের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন কাউন্সিলের আহ্বায়ক অধ্যাপক খন্দকার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বাকৃবি কেন্দ্রে ৯৮৭৫ জন শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন এবং উপস্থিতির হার ৭৮ দশমিক ১৬। এ ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অনুষদের দ্বিতীয় ভবনের একটি কক্ষে একজন পরীক্ষার্থী মোবাইল ফোন ব্যবহার করে নকলের চেষ্টা করে। এসময় তার আচরণ সন্দেহজনক মনে হলে তাকে ধরে তল্লাশি করা হয় এবং মোবাইল ও প্রশ্নপত্রের ফটো পাওয়া যায়। পরে তাকে বহিস্কার করে কোতয়ালী থানায় পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল অনুষদীয় ভবন, করিম ভবন, কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে অবস্থিত বিদ্যালয়সহ মোট ২০ টি অঞ্চলে একযোগে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষা চলাকালীন হল পরিদর্শন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বাকৃবি কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেট, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক শহীদুল হক, প্রক্টর অধ্যাপক মো. আবদুল আলীম, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখার প্রধান অধ্যাপক মো. আরিফুল ইসলাম প্রমুখ।

কক্ষ পরিদর্শন চলাকালীন পরীক্ষার সার্বিক বিষয় নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এ. কে. ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে মোট ২০ টি অঞ্চলে একযোগে পরীক্ষা চলছে। পরীক্ষার্থীদের সার্বিক সহযোগিতার জন্য পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট সকল ধরনের প্রস্তুতি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিয়েছিলো। বাকৃবি থেকে কৃষিতে উচ্চশিক্ষিত ও দক্ষ জনশক্তি তৈরি হবে, যারা দেশের কৃষি খাতকে আরও শক্তিশালী করবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বতন্ত্রতা ও আদর্শকে বজায় রাখতে কৃষিগুচ্ছ থেকে বের হয়ে আসার সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে।'

ভর্তি পরীক্ষার সামগ্রিক ব্যবস্থাপনার বিষয়ে একাধিক পরীক্ষার্থীর সাথে কথা হলে তারা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট সকলেই পরীক্ষার্থীদের প্রতি আন্তরিক। শিক্ষার্থীদের দেওয়া সহায়তা কেন্দ্রগুলো থেকে তারা সার্বিক সহায়তা পেয়েছেন। এ ছাড়াও প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে থাকা নিরাপত্তা কর্মী ও রোভার স্কাউট সদস্যদের কাছে থেকে তারা যাতায়াত বিষয়ক সকল দিক-নির্দেশনা পেয়েছেন।

খুলনা থেকে পরীক্ষা দিতে এসেছেন মো. ফাহাদ ইসলাম। তিনি বলেন, প্রশ্ন মোটামুটি সহজ ছিলো। পরীক্ষা ভালো হয়েছে।'

রংপুর থেকে আসা আরেক পরীক্ষার্থী বলেন, ইংরেজি এবং জীববিজ্ঞান বিষয়ের প্রশ্নগুলো তুলনামূলক কঠিন হয়েছে।

ময়মনসিংহ শহর থেকে আসা আরেক পরীক্ষার্থী বলেন, 'কৃষিগুচ্ছই ছিলো আমার শেষ ভরসা। এর আগে অন্য কোথাও আমার চান্স হয়নি। একারণেই প্রশ্ন সহজ হওয়ার পরেও সাময়িক মানসিক অস্থিরতার কারণে পরীক্ষা ভালো করে দিতে পারিনি।'

উল্লেখ্য, এবার ৯টি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট আসন সংখ্যা ৩৭১৮টি এবং মোট পরীক্ষার্থী ৭৫ হাজার ১৭ জন।

এর মধ্যে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন সংখ্যা ১১১৬, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৩৫, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬৯৮, চট্রগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৭০, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৩১, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫০, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৪৮, হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৯০ এবং কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮০ টি আসন রয়েছে।

এবার কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ব্যতীত অন্য ৮টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ৮টি কেন্দ্র এবং ৩টি উপ-কেন্দ্রসহ সর্বোমোট ১১টি কেন্দ্রে সারাদেশে একযোগে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

নয়া শতাব্দী/এসআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ