ঢাকা, শনিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৪, ২০ আশ্বিন ১৪৩১, ১ রবিউস সানি ১৪৪৬

বাকৃবিতে কৃষি পথগুলোকে শক্তিশালীকরণে উন্নয়ন কর্মশালা

প্রকাশনার সময়: ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ১৮:০৯

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) `কৃষি পথগুলোকে শক্তিশালীকরণ: সৌহার্দ্য তিন প্লাস এর অধীনে কৃষি সহায়তা ব্যবস্থা' শীর্ষক জ্ঞান বিতরণ ও সম্প্রসারণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (৫ অক্টোবর) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম সম্মেলন কক্ষে কেয়ার বাংলাদেশ এবং বাকৃবির যৌথ উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ইউএসএআইডি) প্রোগ্রামটির আর্থিক সহায়তা করেছে।

অনুষ্ঠানে কেয়ার বাংলাদেশের সৌহার্দ্য তিন প্লাস প্রোগ্রামের এএসটিএল-কেএমআরএল ড. ফয়সাল কবির বলেন, সৌহার্দ্য তিন প্লাস প্রোগ্রাম দেশের হাওর ও চর অঞ্চলের ৮টি জেলায় দরিদ্রতা হ্রাস, নারী ক্ষমতায়ন, অর্থনৈতিক সুযোগ সৃষ্টি এবং আবহাওয়া সহিষ্ণু চাষাবাদ ও মৎস্য চাষের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করছে। প্রোগ্রামের আওতায় সরাসরি কৃষকদের জীবনমান উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, প্রোগ্রামের প্রধান লক্ষ্য হলো কৃষকদের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, দারিদ্র্য দূরীকরণ এবং নারীদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করা। বিশেষভাবে নারীদের ক্ষমতায়নকে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করা হচ্ছে। এ ছাড়া কর্মসংস্থান বৃদ্ধি এবং আবহাওয়া সহিষ্ণু আধুনিক চাষাবাদ পদ্ধতির সাথে কৃষকদের পরিচিত করা হচ্ছে। এর ফলে কৃষকরা আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাদের ফসলের ফলন বাড়ানোর পাশাপাশি মৎস্য উৎপাদনেও উন্নতি করতে পারছেন।

অনুষ্ঠানে কেয়ার বাংলাদেশের সৌহার্দ্য তিন প্লাস প্রোগ্রামের অ্যাক্টিং চিফ অফ পার্টি আব্দুল মান্নান মজুমদার উদ্বোধনী বক্তব্য দেন। তিনি প্রোগ্রামের কার্যক্রম ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেন।

অনুষ্ঠানে প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন বাকৃবি রিসার্চ সিস্টেমের পরিচালক অধ্যাপক ড. এম. হাম্মাদুর রহমান, কৃষি সম্প্রসারণ শিক্ষা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. গোলাম ফারুক, পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শহীদুর রহমান, এগ্রোনমি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রমিজ উদ্দিন, ফিশারিজ টেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. ফাতেমা হক শিখা এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, কিশোরগঞ্জের উপপরিচালক আবুল কালাম আজাদ।

প্যানেল আলোচনায় বক্তারা বলেন, এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে নারী ও পুরুষ উভয়ই অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। যা পরিবার ও সমাজে তাদের অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করছে। দীর্ঘমেয়াদে এই কার্যক্রম হাওর ও চর অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাকৃবি কৃষি সম্প্রসারণ শিক্ষা বিভাগের প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ড. মোছা. জান্নাতুন নাহার মুক্তা। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পশুবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এ. কে. এম. আহসান কবির। এ ছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কিশোরগঞ্জের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবুল কালাম আজাদ।

অনুষ্ঠানের শেষ অংশে প্রশ্ন-উত্তর পর্বে অতিথি ও উপস্থিত দর্শকদের মধ্যে প্রোগ্রামের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা হয়।

নয়া শতাব্দী/এসআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ