বৃহস্পতিবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ১৮ আশ্বিন ১৪৩১
নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়

বিভাগীয় বৃত্তি ও শিক্ষক সহায়তাকারী শিক্ষার্থীদের সনদ প্রদান

প্রকাশনার সময়: ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ২০:৪১

বিভাগীয় বৃত্তি ও শিক্ষক সহায়তাকারী শিক্ষার্থীদেরকে সনদ দিয়েছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থানীয় সরকার ও নগর উন্নয়ন (এলজিইউডি) বিভাগ।

বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফারেন্স কক্ষে বিভাগীয় বৃত্তি ও শিক্ষক সহায়তাকারী শিক্ষার্থীদেরকে সনদ প্রদান অনুষ্ঠানটি আয়োজিত হয়।

বিভাগীয় প্রধান মো. রাকিবুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. মো. বখতিয়ার উদ্দিন। সঞ্চালনা করেন সহকারী অধ্যাপক আফরোজা ইসলাম লিপি।

এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার ও নগর উন্নয়ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও সহকারী অধ্যাপক মো. রাকিবুল ইসলাম, সহকারী অধ্যাপক সাদিক হাসান শুভ, প্রভাষক মো. মুস্তাফিজুর রহমান, প্রভাষক মাহিদুল ইসলাম মাহিম ও প্রভাষক মো. আবু সায়েমসহ বিভাগের বিভিন্ন শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ড. মো. বখতিয়ার উদ্দিন বলেন, এই বিভাগটি হলো 'স্ট্যান্ডিং আউট ফরম দ্যা ক্রাউড'। এই বিভাগটি নিজেদের উদ্যোগে নিজ বিভাগের শিক্ষার্থীদেরই বৃত্তি দিচ্ছে যা প্রশংসার যোগ্য। শিক্ষক সহায়তাকারী শিক্ষার্থীদের যে সার্টিফিকেট দেওয়া হচ্ছে তা ভবিষ্যতে চাকরির ক্ষেত্রে বা দেশের বাহিরে যাওয়ার ক্ষেত্রে কাজে দিবে।

অনুভুতি প্রকাশ করে বিভাগটির ২০২৩-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. লুৎফুল নাসিফ পুলক বলেন, স্বীকৃতি সর্বদা আনন্দ নিয়ে আসে। যখন এটি একটি অকৃতজ্ঞ কাজের জন্য হয় তখন এটি আরও বেশি অর্থবহ হয়ে ওঠে। একজন শিক্ষক সহকারী হিসেবে কাজ করা আমাকে ব্যক্তি হিসেবে বেড়ে উঠতে এবং আমার দক্ষতাকে পরিমার্জিত করতে সাহায্য করেছে। আজকের এই স্বীকৃতি আমাকে আনন্দ এবং অনুপ্রেরণা দিয়ে পূর্ণ করে, এবং আমি আশা করি এই স্বীকৃতি আমাদের পেশাগত ক্যারিয়ার এবং উচ্চ শিক্ষা উভয় ক্ষেত্রেই আমাদের যাত্রাকে আরও মসৃণ করবে।

২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ওমর ফারুক বলেন, শিক্ষক সহকারী সার্টিফিকেশন আমার জন্য অন্য পেশা থেকে উত্তরণের জন্য সহায়ক হবে। এটা আমার জন্য একটি বিশাল অর্জন এবং ভালো অভিজ্ঞতা।

সহকারী অধ্যাপক আফরোজা ইসলাম লিপি বলেন, কোন ভালো কাজে শরীক হতে পারা নি.সন্দেহে আনন্দের। স্থানীয় সরকার ও নগর উন্নয়ন বিভাগ ছাত্র কল্যাণ তহবিল গঠনের মাধ্যমে বিভাগের শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বৃত্তি প্রদানের যে উদ্যোগ ও কার্যক্রম পরিচালনা করছে তা সত্যিই প্রশংসনীয় ও শিক্ষার্থীদের জন্য খুবই অনুপ্রেরণামূলক। এ ছাড়াও যেসকল শিক্ষার্থী বিভিন্ন শিক্ষা বর্ষে টিচার্স এসিস্টেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন সম্পন্ন করেছে তাদেরকে কাজের স্বীকৃতিস্বরুপ টিএ সনদ দেয়া হয়েছে, যা এখন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে ইউনিক একটি উদ্যোগ। এ অনুষ্ঠান আয়োজন করার অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আমাদের বিভাগের সম্মানিত বিভাগীয় প্রধানের দিকনির্দেশনা ও অন্যান্য সহকর্মীদের যে সহযোগিতা পেয়েছি তার জন্য আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। সঞ্চালনা করতে গিয়ে যখন শিক্ষার্থীদের নাম ঘোষণা করছিলাম অন্যরকম একটা ভালো লাগা কাজ করছিল। শিক্ষার্থীদের জন্যই আমরা শিক্ষক। শিক্ষার্থীরাই শিক্ষকদের প্রাণ; সন্তান তুল্য। তাদের মঙ্গলের জন্য, তাদের উৎসাহ দেয়ার জন্য, তাদের সহযোগিতা করার জন্য যেকোন উদ্যোগে সম্পৃক্ত থাকতে পারা আমার জন্য অনেক আনন্দের। আমাদের শিক্ষার্থীরা সবসময় ভালো থাকুক।

বিভাগীয় প্রধান মো. রাকিবুল ইসলাম বলেন, আমরা অত্যন্ত আনন্দিত যে দ্বিতীয়বারের মতো বৃত্তি পুরস্কার অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে পেরেছি। এছাড়াও শিক্ষক সহকারীদের সনদও প্রদান করা হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, এই ধরনের প্রোগ্রাম শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত করবে। প্রোগ্রামটিকে সফল করার জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছেন তাদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।

নয়া শতাব্দী/এসআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ