মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের (এসআরডিআই) এনক্যাডারমেন্ট রায় বাস্তবায়ন কমিটির কর্মকর্তাদের নাজেহাল ও লাঞ্ছিত করায় বিচারের দাবি এবং ফ্যাসিবাদের দোসরদের বিরুদ্ধে মৃত্তিকা বিজ্ঞানীদের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ওপর কর্মচারীদের দ্বারা হামলা-লাঞ্ছনার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট।
রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় খামারবাড়ি কেআইবি'র সামনে সকল কর্মকর্তার উপস্থিতে এ মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে উপস্থিত এসআরডিআই এর সিনিয়র কর্মকর্তারা জানান, ক্যাডার ও নন ক্যাডার দুইটি নিয়োগবিধির মাধ্যমে পরিচালিত হওয়ায় কর্মকর্তাদের পদোন্নতি, পদায়ন ও প্রশিক্ষণসহ নানাবিধ কার্যক্রমে বৈষম্য সৃষ্টি হচ্ছে। অফিসের সামগ্রিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে গত ২০/৩/২০২৪ তারিখে মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগ থেকে রায়ের মাধ্যমে প্রথম শ্রেণির ৮৯ জন নন ক্যাডার কর্মকর্তাকে বিশেষ বিধানের মাধ্যমে বিসিএস (কৃষি) ক্যাডারের সাথে একীভূত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। রায় বাস্তবায়নের লক্ষ্যে গত ০২/০৯/২০২৪ তারিখ এসআরডিআই এর সেমিনার কক্ষে মহাপরিচালক জনাব মো. জালাল উদ্দীনের সভাপতিত্বে সকল সিনিয়র কর্মকর্তাদের নিয়ে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সর্বসম্মত সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে রায় বাস্তবায়নের জন্য ০৩/০৯/২০২৪ তারিখ কৃষি মন্ত্রণালয়ে পত্র প্রেরণ করা হয়। কৃষি মন্ত্রণালয়ের আইন শাখা এই প্রস্তাবের ব্যাপারে স্পষ্টিকরণের জন্য একটি পত্র জারী করে। সেই পত্র প্রেরণের জন্য গত ২৩/৯/২০২৪ তারিখ মহাপরিচালক মহোদয়ের দপ্তরে মামলার রায় প্রাপ্ত ৮৯ জন কর্মকর্তাদের মধ্যে থেকে একটি প্রতিনিধি দল আলোচনায় অংশ গ্রহণ করেন। আলোচনা চলাকালীন কতিপয় কর্মকর্তার ইন্ধনে বহিরাগত ও এই প্রতিষ্ঠানের কিছু সংখ্যক কর্মকর্তা ও কর্মচারী আলোচনারত কর্মকর্তাদের সাথে অশোভন আচরণ হুমকি-ধামকি ও লাঞ্ছিত করেন। ফলে আমাদের ৯ দাফি আদায়ে আজকের মানববন্ধন কর্মসূচি।
দাবিগুলো হলো- ‘মহাপরিচালকের কার্যালয়ে কর্মকর্তাদের ওপর যারা হামলা ও লাঞ্ছনা করেছে তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিচার করতে হবে, উপ পরিচালক (প্রশাসন) পদ সৃজনের পূর্বেই অবৈধভাবে জনাব মো. শরিফুল ইসলামকে প্রদত্ত রুটিন দায়িত্ব বাতিল করতে হবে, বহিরাগতদের আগমনের পূর্বেই কারা এবং কী উদ্দেশ্যে মহাপরিচালকের কার্যালয়ে কর্মচারীদের জড়ো করানো তা শনাক্ত করতে হবে, মহাপরিচালকের কার্যালয়ে কারা পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক সিসি ক্যামেরা বন্ধ করে রহস্যজনকভাবে বহিরাগতদের রুমে প্রবেশ এবং নির্বিঘ্নে চলে যেতে দিয়েছে তা শনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক বিচার করতে হবে, নারী কর্মকর্তাদের ভীত সন্ত্রস্তকারীদের বিচার করতে হবে, উচ্চ আদালত কর্তৃক প্রদত্ত এনক্যাডারমেন্টের রায় দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে, প্রতিষ্ঠানে বারবার বহিরাগত সন্ত্রাসীদের আগমন প্রতিহত করতে হবে, কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে, প্রতিষ্ঠানে বিশৃংখলা সৃষ্টিকারীদের দ্রুত বিচার করতে হবে।’
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ