ঢাকা, রোববার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪ আশ্বিন ১৪৩১, ২৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ডায়রিয়ায় আক্রান্ত চুয়েটের প্রায় অর্ধ-শতাধিক শিক্ষার্থী

প্রকাশনার সময়: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২১:৪৮

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) শেখ রাসেল হলের প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী অজানা কারণে ডায়রিয়া ও পেটের পীড়ায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গেছে। তন্মধ্যে অনেকে অবস্থার অবনতি হওয়ায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

অসুস্থ শিক্ষার্থীরা জানান, গত কয়েকদিন ধরে উক্ত হলের বেশ কিছু আবাসিক শিক্ষার্থী ডায়রিয়া ও পেটের পীড়া সংক্রান্ত অসুস্থতায় ভুগছেন। তবে ঠিক কোন কারণে এমন রোগে তারা আক্রান্ত হয়েছেন, তা নিশ্চিত করে কেউ বলতে পারছেন না। কেউ কেউ হলে সরবরাহকৃত পানির দিকে আঙুল তুলছেন। আবার ডাইনিংয়ের খাবারকেও অনেকে অস্বাস্থ্যকর উল্লেখ করে উক্ত রোগের জন্য দায়ী করছেন।

এসময় দ্বিতীয় বর্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী মো. লোকমান হাকিম বলেন, গত বেশ কিছুদিন যাবত আমি পেটের সমস্যায় ভুগছি। আমি হলের বাইরে খাই না। হলের খাবার কিংবা পানি থেকে এ সমস্যা হতে পারে। হাসপাতালেও যেতে হয়েছে আমাকে।

ভুক্তভোগী একই ব্যাচের আরেক আবাসিক শিক্ষার্থী আহমেদ জুবায়ের হাসিব বলেন, গত কয়েকদিন যাবত এমন অসুস্থতা বোধ করছি। ক্লাসেও যেতে পারি নি দুদিন। পড়ালেখায় সমস্যা হচ্ছে। সবাই ধারণা করছে, খাবার পানি অথবা ডাইনিংয়ের খাবার থেকে এমন সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।

এদিকে, চুয়েট মেডিকেল সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী গত কয়েকদিনের মধ্যে প্রায় ৫০-৬০ জন শিক্ষার্থী ডায়রিয়া বা লুজমোশন জনিত সমস্যায় চিকিৎসা সেবা নিয়েছেন, যেখানে প্রায় সবাই শেখ রাসেল হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে অনেকেরই অবস্থা অবনতি হওয়ায় চট্টগ্রাম মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে মেডিকেল সেন্টারটির সমন্বয়কারী ডা. রানী আক্তার বলেন, আমরা সম্প্রতি বেশ কিছু শিক্ষার্থীকে ডায়রিয়া জনিত সমস্যায় এখানে আসতে দেখি। এর মধ্যে বেশিরভাগই শেখ রাসলে হলের হওয়ায় বিষয়টি ছাত্র কল্যাণ অধিদপ্তরকে জানানো হয়।

এদিকে চীফ ইঞ্জিনিয়ার জানান, চুয়েটের সিউয়েজ লাইনে কোনো ধরনের কোনো সমস্যা নেই। এ পানি থেকে পানিবাহিত রোগ হওয়ার সম্ভাবনা কম। আসলে, এ ধরনের রোগ অসুখ হতে পারে খাবার ও পানির সমস্যা থেকে। এ ব্যাপারে সবাইকে সচেতন থেকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলা উচিত।

অসুস্থ শিক্ষার্থীদের ব্যাপারে শেখ রাসেল হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মামুনুর রশীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি নয়া শতাব্দীকে জানান, আমরা এই সমস্যার কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি। ডাইনিংয়ের জন্য বরাদ্দকৃত মাছ পর্যবেক্ষন করে দেখেছি, নিজেও ডাইনিংয়ে খেয়ে দেখেছি। আসলে, তেমন সন্দেহজনক কিছু পাই নি। তবে এখনও পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। পানির ট্যাংকিও আবার পরিষ্কার করা হয়েছে। হলের ডাইনিং ক্যান্টিনে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে। অসুস্থ শিক্ষার্থীদেরকেও চিকিৎসা সেবা দেয়ার ব্যাপারে সবরকম সহযোগীতা করা হবে।

নয়াশতাব্দী/টিএ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ