ঢাকা, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ঢাবি-জাবিতে হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে নোবিপ্রবিতে বিক্ষোভ  

প্রকাশনার সময়: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৬

অমানবিক নির্যাতন ও বিচার ছাড়াই আইন হাতে তুলে নিয়ে করা পাশবিক হত্যাকাণ্ডের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সচেতন ছাত্রসমাজের ব্যানারে এ বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

এ সময় তারা বিগত ১৫ বছর ধরে দেশে স্বৈরাচারী সরকারের বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের যে সংস্কৃতি চালু হয়েছিল তার কঠোর নিন্দা জানিয়ে অনতিবিলম্বে এসব কার্যক্রম বন্ধের দাবি জানান তারা। তাদের চালুকৃত এ নোংরা সংস্কৃতি ছাত্র জনতার আন্দোলনে পাওয়া এ নতুন বাংলাদেশে কোনোভাবেই কাম্য নয়। এছাড়া তারা দেশে আইন ও আইনের শাসন কায়েম করার এবং ছাত্র জনতাসহ সব মানুষকে নিজেদের হাতে আইন তুলে না নেয়ার জন্য দাবি জানান।

বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা নোবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা এ হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে যে নতুন বাংলাদেশ আমরা পেয়েছি, আমরা আশা করি, এ বাংলাদেশে বিচার বহির্ভূত কোনো হত্যাকাণ্ড চলবে না। জাবি ও ঢাবির এ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের অতিসত্তর আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা দেশব্যাপী দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে।

এ সময় কৃষি বিভাগের শিক্ষার্থী নিয়াজ তার বক্তব্যে বলেন, চলমান এ ঘটনা একটি সুপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, দেশের একটি প্রাণও যেন নির্বিচারে না ঝরে,হোক সেটা মানুষ বা অন্য প্রাণী। এ ব্যাপারটি আমাদের নিশ্চিত করতে হবে। এ পরিস্থিতির লাগাম টেনে ধরা না হলে প্রয়োজনে শিক্ষার্থীরা আবার মাঠে নামবে একটি নিপীড়নবিহীন ও ন্যায়ের বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য আবারো রাজপথে নামবে শিক্ষার্থীরা। আশা করছি, প্রশাসন এ ব্যাপারে সুদৃষ্টি দিবেন।

ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচারের দাবি করেন শিক্ষার্থীরা। প্রতিবাদ সমাবেশে ফজলে এলাহি ফুয়াদ বলেন, আবরার থেকে তোফাজ্জল সব ঘটনাই প্রায় একই সূত্রে গাঁথা। গতকালের ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তারা যে দলেরই হোক, যে মতাদর্শেরই হোক না কেন তাদের অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।

সমাবেশে বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী আরিফ বলেন, আমরা আবু সাইদ, মুগ্ধদের আত্মত্যাগ মাধ্যমে দ্বিতীয় স্বাধীনতা অর্জন করেছি। আমরা ইতোমধ্যেই দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতা দখল করে থাকা স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়েছি।কিন্তু তার রেখে যাওয়া দোসররা এখনো ওৎপেতে আছে। তারা দেশকে অস্থিতিশীল রাষ্ট্রে পরিণত করতে চাই। তারই অংশ হিসেবে গতকাল প্রাচ্যের অক্সফোর্ডখ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পৈশাচিক কায়দায় তোফাজ্জলকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা মনে করি, আবরার ফাহাদের হত্যাকাণ্ড আর তোফাজ্জলের হত্যাকাণ্ড একই সূত্রে গাথা। স্বৈরাচারের দোসর, ২৪ এর পরাজিত শক্তিরা এৎ কাজগুলো পেছন থেকে করছে। আমরা তাদের সর্বশক্তি দিয়ে রুখে দেব ইনশাআল্লাহ।

নয়াশতাব্দী/জিএস

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ