বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আল্টিমেটামে এবার পদত্যাগ করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক তারিকুল হাসান।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য কার্যালয়ে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক অবাইদুর রহমান প্রামাণিক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অধ্যাপক অবাইদুর রহমান বলেন, ‘রেজিস্ট্রার উপাচার্য বরাবর পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে তিনি পদত্যাগ করেছেন।’
এর আগে, গতকাল সোমবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মো. তারিকুল হাসান (ভারপ্রাপ্ত) কে পদত্যাগ করতে আজ সকাল ১১টা পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দেয়। এর মধ্যে আজ দুপুরে তিনি উপাচার্য বরাবর পদত্যাগ জমা দিয়েছেন।
পদত্যাগের বিষয়ে জানতে সদ্য সাবেক রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. তারিকুল হাসানের ফোনে একাধিকবার কল দেয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
এ বিষয়েবৈষম্য ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক গোলাম কিবরিয়া মোহাম্মদ মেশকাত চৌধুরী বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এরমধ্যে ক্যাম্পাসে চলে এসেছেন। শিক্ষার্থীদের দাবি ছিল দ্রুত সময়ের মধ্যে যেন ক্লাস চালু করা হয়। আমরা রেজিস্ট্রারকে জানিয়েছি উপাচার্য নিয়োগ হওয়ার জন্য অপেক্ষা না করে ডিনদের সঙ্গে বসে ক্লাস চালু করতে। কিন্তু এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চেষ্টা করেও তাকে ফোনে আমরা পাইনি। ১৯৭৩ সালের অধ্যাদেশ অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ কর্মকর্তা এখন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার। তিনি চাইলে ডিনদের সঙ্গে মিটিং করে ক্লাস চালু করে দিতে পারেন। কিন্তু তিনি কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে উল্টো ফোনই ধরেন না। আমরা জেনেছি পেছনের তারিখে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্রে সাক্ষর করেছেন তিনি। তাই আমরা তার পদত্যাগ দাবি করেছি।
উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের কোষাধ্যক্ষ ও ডিন ছাড়া বর্তমান প্রশাসনের উপাচার্য, দুই উপ-উপাচার্য, প্রক্টর, ছাত্র উপদেষ্টাসহ অন্তত ৭৬ জন কর্মকর্তা ইতিমধ্যে পদত্যাগ করেছেন।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ