ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ১৫ কার্তিক ১৪৩১, ২৭ রবিউস সানি ১৪৪৬
বাঙলা কলেজের ৬০ বছর পূর্তি 

কলেজটি বিশ্ববিদ্যালয় হতেই পারে: অধ্যক্ষ

প্রকাশনার সময়: ০১ অক্টোবর ২০২১, ০০:৪৫ | আপডেট: ১৩ মার্চ ২০২২, ১৫:১২
সরকারি বাঙলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. ফেরদৌসী খান

২৫ একরের বাঙলা কলেজ 'বাঙলা বিশ্ববিদ্যালয় হতেই পারে বলে মন্তব্য করেছেন সরকারি বাঙলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. ফেরদৌসী খান। ঐতিহ্যবাহী এ প্রতিষ্ঠানটির ষাট বছর পূর্তি উপলক্ষে দৈনিক নয়া শতাব্দীকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ মন্তব্য করেন তিনি।

অধ্যক্ষ ড. ফেরদৌসী খান বলেন, সাধারণত রাজনীতিবিদের নামে, বড় মহান ব্যক্তিদের নামে বা স্থানের নামে কলেজের নামকরণ করা হয়। তবে এই কলেজটির নামকরণ করা হয়েছে ভাষা আন্দোলনকে সামনে রেখে। কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন ভাষাবিদ ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ এবং প্রিন্সিপাল ইব্রাহিম খাঁ ছিলেন সাধারণ সম্পাদক। আমি যেহেতু বাংলার ছাত্রী এবং ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ আমাদের বাংলার শিক্ষক ছিলেন, অতএব বাঙলা কলেজকে এগিয়ে নেয়ার জন্য আমার অন্য রকম অনুভূতি কাজ করবেই।

দায়িত্ব নেয়ার সময়কার বাঙলা কলেজ আর বর্তমান কলেজের মধ্যে কী ধরনের পার্থক্য দেখতে পান প্রশ্নে তিনি বলেন, আগের বাঙলা কলেজ আর এখনকার বাঙলা কলেজের পার্থক্য বলবে আমার ছাত্রছাত্রী আর শিক্ষকরা। আমি কী পরিবর্তন করেছি- সেটার চাক্ষুষ প্রমাণ আছে। আসলে আমি যখন আসি সে সময় কলেজটি নোংরা, আবর্জনাবেষ্টিত ছিল, ছাত্রছাত্রীরা খুব ডিসিপ্লিন ছিল না। আমি এসে সহশিক্ষা কার্যক্রম বাড়িয়ে দিয়েছি। আমি শিক্ষার্থীদের জন্য ডিবেট, নাট্যচর্চা, রক্তের জন্য বাঁধন, রেড ক্রিসেন্ট, গার্লস গাইড, বিজ্ঞান ক্লাব, কুইজ ক্লাব এগুলো একটার পর একটা খুলে যাচ্ছি।

এছাড়াও রোভার, বিএনসিসি অর্থাৎ কো কারিকুলামের ওপর জোর দিয়েছি। আর সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ২৫ একর জায়গার এ কলেজটি এখন অনেক পরিচ্ছন্ন। সামনে লেকের চারদিক দিয়ে ওয়াকওয়ে করে দিতে চাই। অধ্যক্ষ বলেন, বাংলা কলেজ জাদুঘর হওয়ার মতই একটা কলেজ। কারণ এ কলেজে বধ্যভূমি আছে নয়টি, তিনটিতে আমি বেদি নির্মাণ করেছি। বেদি তিনটি নির্মাণে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের পরিচালক মুনতাসীর মামুনের সহযোগিতা পেয়েছি। বাঙলা কলেজ নিয়ে নিজের ভবিষ্যৎ

পরিকল্পনা সম্পর্কে অধ্যক্ষ বলেন, বাঙলা কলেজ নিয়ে একটাই পরিকল্পনা- আমি ইংল্যান্ডে গিয়েছিলাম, ওখানে দেখেছি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান একেকটা জাদুঘর। এখানে নয়টি বধ্যভূমি এবং নৈসর্গিক

'বাঙলা কলেজ জাদুঘর হওয়ার মতোই একটা কলেজ। কারণ এ কলেজে বধ্যভূমি আছে নয়টি, তিনটিতে আমি বেদি নির্মাণ করেছি।'

পরিবেশ অনেক সুন্দর, খালটি প্রবাহিত হয়ে গেছে, সে খালে ওয়াকওয়ে করা হবে। বাকি বধ্যভূমিগুলোতেও বেদি করব এবং সামনে একটা গেট করা হবে। আর্টিস্ট এসেছিল, আমাদের কলেজে যে নৃশংসভাবে মানুষ হত্যা করেছিল সেগুলোর একটা চিত্র করতে চায়। সেগুলো করব। মোট কথা, একটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাদুঘর করতে চাই।

নয়া শতাব্দী/জেআই/এমআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ