মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২ আশ্বিন ১৪৩১

বন্যাদুর্গত এলাকায় কৃষককে বিনামূল্যে ধানের চারা দেবে বাকৃবি

প্রকাশনার সময়: ২৯ আগস্ট ২০২৪, ১৮:৫৭

বন্যা পরবর্তী খাদ্য সংকট মোকাবিলার করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষার্থীরা নাবী আমন ধানের চারা বিনামূল্যে বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছে। এরই অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) বাকৃবিতে শুরু হয়েছে বীজ বপণের কাজ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিতত্ত্ব বিভাগের গবেষণা মাঠের ১ একর জমিতে ২০০ কেজি বিনা ধান-১৭ জাতের ধানের বীজ বপণ করা হয়। ১৮ থেকে ২০ দিন পর ধানের চারা গজাবে বলে আশাবাদী শিক্ষার্থীরা। এরপর তারা বিনামূল্যে সেইসব চারা পৌঁছে দিবে বন্যা কবলিত এলাকায়। এছাড়া খামার ব্যবস্থাপনা শাখার মাঠেও আগামী শনিবার (৩১ আগস্ট) ধানের বীজ বপণ করা হবে।

শিক্ষার্থীরা জানান, ভারতের আকস্মিক বাঁধ খুলে দেয়ার কারণে দেশের প্রায় ১১ টি জেলা তলিয়ে গেছে। যে যার অবস্থান থেকে উদ্ধার ও ত্রাণ সহায়তা করছে। দেশের শিক্ষার্থীরা এ বিষয়ে অগ্রগামী ভূমিকা পালন করছে। কিন্তু এই আকস্মিক বন্যায় ডুবে নষ্ট হয়েছে রোপা আমন ধানের বীজতলা এবং চারা। যা কিছুদিন পর বন্যার পানি নেমে গেলেও, আবার চারা তৈরি করতে অন্তত এক মাসের মতো সময় লাগবে। এতে আমন ধান লাগানোর সময় পার হয়ে যাবে। আবার বন্যার কারণে চারা তৈরি করতে না পারলে কৃষকরা সমস্যায় পড়বেন। দেশে দেখা দিবে খাদ্য সংকট।

তাই খাদ্য সংকটের কথা মাথায় রেখে আমরা বন্যা পরবর্তী ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ধান চারা দিয়ে সহায়তা করার উদ্যোগ নিয়েছি। পরে আমাদের সাথে যোগ দিয়েছেন অন্যান্য কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক- শিক্ষার্থীরা, বীজ কোম্পানি এবং কৃষি উদ্যোক্তারা। বিনা-১৭ ধানটি স্বল্প মেয়াদী হওয়ায় কৃষকদের পরবর্তী ধান লাগানোর বিষয়টি সহজ হবে।

জানা যায়, বন্যা কবলিত কৃষকদের সহায়তার করার জন্যে আগ্রহী শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কৃষি বিজ্ঞানী, কৃষি উদ্যোক্তা এবং কৃষি বিষয়ক কোম্পানিগুলো এগিয়ে এসেছে। বায়ার বাংলাদেশ থেকে শিক্ষার্থীদের ৫০০ কেজি ধানী গোল্ড জাতের ধানের বীজ দিয়েছে। এ ছাড়া বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) থেকে স্বল্পমূল্যে বীজ সরবরাহ করা করেছে।

আব্দুল্লাহ আল মুন্না নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, বাকৃবিতে ৫ একর, নোয়াখালি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১ একর, চট্রগ্রামের হাট হাজারীতে ৪ একর এবং কুমিল্লা ও লক্ষীপুরে ২ একরসহ মোট ১২ একরে ৭৬০ বিঘা জমিতে চারা রোপণ করে ১০০০ কৃষককে বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

বীজ বপনের সময় উপস্থিত ছিলেন কৃষিতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান এবং কৌলিতত্ত্ব ও উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের অধ্যাপক ড. এ. বি. এম আরিফ হাসান খান রবিনসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষকরা বলেন, বীজ থেকে চারা হবে, পরে সেই চারা আমরা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মাঝে বিতরণ করবো বিনামূল্যে। এজন্য আমরা যে যার অবস্থান থেকে সাহায্য করেছি। চারা রোপণের পর সার, কীটনাশক ও সবজি বীজ দেওয়ার বিষয়ে আমরা চিন্তা করেছি। শিক্ষার্থীদের সর্বাত্মক সহায়তায় আমরা সব সময় পাশে থাকবো।

নয়া শতাব্দী/এসআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ