সিরাজগঞ্জের রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে সিসি ক্যামেরার ভিডিও দেখে শিক্ষার্থীদের চুল কেটে দেওয়ার ‘প্রমাণ পাওয়ার’ কথা জানিয়েছে তদন্ত কমিটি। সেই সিসিটিভি ফুটেজ নিয়ে চলছে তোলপাড়।
অভিযুক্ত শিক্ষক ফারহানা এ ঘটনার দায় অস্বীকার করলেও ক্যাম্পাসের সিসিটিভি ফুটেজে ঘটনার সময় তাকে কাঁচি হাতে দেখা যায়। এছাড়া পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের দেখা যায় কাটা চুল তুলে নিয়ে যাচ্ছেন।
তদন্ত কমিটির সভাপতি এবং রবীন্দ্র অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান লায়লা ফেরদৌস হিমেল বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বলেন, ‘ঘটনাস্থলে একটি সিসি ক্যামেরা লাগানো ছিল। ওই ক্যামেরার ফুটেজ আমাদের হাতে এসেছে। ফুটেজে কাঁচি হাতে শিক্ষার্থীদের চুল কাটার ঘটনার সত্যতা মিলেছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা তদন্ত কমিটির সদস্যরা মিলে ইতোমধ্যে একাধিক বৈঠক করেছি। আজও বৈঠক করব। আশা করছি আগামীকালের মধ্যে তদন্ত শেষ করে প্রতিবেদন জমা দিতে পারব।’
এক প্রশ্নের উত্তরে লায়লা ফেরদৌস হিমেল বলেন, প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর গণমাধ্যমকর্মীদেরও সে বিষয়ে জানানো হবে। সিসি ক্যামেরার সেই ভিডিও তারা প্রকাশ করতে চান, যাতে স্বচ্ছ্তা থাকে।
উল্লেখ্য, শিক্ষক ফারহানা ইয়াসমিন বাতেন কাঁচি হাতে ১৬ শিক্ষার্থীর চুল কেটে দেন বলে অভিযোগে ওঠে। সেই শিক্ষার্থীদের একজন আত্মহত্যার চেষ্টা করলে ক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে বিশ্ববিদ্যালয়।
এ পরিস্থিতিতে গত মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালনা বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রশাসনিক দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেন সহযোগী অধ্যাপক ফারহানা ইয়াসমিন, যদিও তিনি শিক্ষার্থীদের চুল কেটে দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন।
নয়া শতাব্দী/জেআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ