সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে অবশেষে পদত্যাগ করলেন গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য। একই সাথে সাধারণ ছাত্র আন্দোলনের বিপক্ষে ভূমিকা থাকায় উপাচার্য পদত্যাগের পূর্বে তিন শিক্ষক ও তিন কর্মকর্তার অব্যাহতি প্রদান করেন।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৪টায় শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে পদত্যাগ করেন তারা।
পদত্যাগের পূর্বে তিনি প্রক্টরিয়াল বডি, বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জাকিয়া সুলতানা মুক্তা, বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের প্রভাষক ইমদাদুল হক সোহাগ, একাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সোলাইমান হোসেন মিন্টু এবং উপ-রেজিস্ট্রার নজরুল ইসলাম হীরা, শেখ তারেক, নিরাপত্তা কর্মকর্তা তরিকুল ইসলামকে অব্যাহতি প্রদান করেন।
সাধারণ শিক্ষার্থীরা বলেন, 'আন্দোলন চলাকালে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের বিপক্ষে যেয়ে তাদেরকে জামায়াত শিবিরের ট্যাগ দিয়ে বক্তব্য দেন এবং একই সাথে আন্দোলনের বিক্ষোভ মিছিল করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, উপ-রেজিস্ট্রার নজরুল ইসলাম হীরা। আন্দোলনের বিপক্ষে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনজন শিক্ষক লেখালেখি করেন। এর পাশাপাশি নিরাপত্তা কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে বাধা দিয়ে এক শিক্ষার্থীর ফোন কেড়ে নেওয়ার মতো সাহস দেখিয়েছে।’
তারা আরো বলেন, ‘প্রক্টর আমাদেরকে হল থেকে বের করে দেওয়ার জন্য মাইকিং করেছে এবং বিভিন্ন সময়ে শিক্ষার্থীদের ওপর যে হামলা হয়েছে তার বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেননি তিনি। যেসব শিক্ষার্থী হামলা করেছে শিক্ষার্থীদের ওপর তাদেরকে তিন দিনের মধ্যে বহিষ্কার করবেন অন্যথায় তিনি পদত্যাগ করার দাবি ছিল।
ভিসি, প্রো-ভিসি, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও প্রক্টর রিয়াল বডির বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ এনে গত ১৭ আগস্ট তাদের পদত্যাগসহ ১৫ দফা দাবি পেশ করেন।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ