প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশত্যাগের পর দেশব্যাপী সংঘটিত হত্যা-লুণ্ঠন-অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (১২ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার সংলগ্ন সড়কে এ মানবন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শতাধিক শিক্ষক-শিক্ষার্থী অংশ নেয়। মানবন্ধনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জাবি শাখার সমন্বয়ক মেহরাব সিফাতের সঞ্চালনায় বক্তরা স্বৈরাচার সরকারের দুষ্কৃতকারী কর্তৃক দেশব্যাপী হত্যা, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগের বিরুদ্ধে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান৷
বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক কামরুল আহসান বলেন, 'বাংলাদেশে মেধাভিত্তিক একটি সমাজ প্রতিষ্ঠা করার জন্য যে আন্দোলন হয়েছে তা এখনো শেষ হয়ে যায়নি৷ বরং এটা শুরু হয়েছে। আপনারা দেখতে পারছেন দেশব্যাপী কতগুলো ষড়যন্ত্র হচ্ছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনেও সংখ্যালঘু সহযোদ্ধারা ছিল। তাই এটি ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে একটি সুন্দর মেধাভিত্তিক বাংলাদেশ তৈরি করার সংগ্রাম৷ যারা এর বিরুদ্ধে কাজ করবে তারা যে দলেরই হোক না কেন তারা বাংলাদেশের শত্রু। মেধাভিত্তিক ও অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ বাংলাদেশের স্বপ্নের শত্রু।'
সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে বিশেষ কোনো দলের দাবার গুটি না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক শামীমা সুলতানা বলেন, 'দেশের দ্বিতীয় স্বাধীনতা অর্জনের সঙ্গে আমরা সবাই জড়িত ছিলাম। কিন্তু স্বাধীনতা অর্জনের চাইতে স্বাধীনতা রক্ষা করা কঠিন৷ তাই আমাদের সবাইকে অনেক সতর্ক থাকতে হবে। সংখালঘুদের বলবো আপনারা বিশেষ কোনো দলের দাবার গুটি হয়ে যাবেন না৷ আপনারা এই বাংলাদেশের অংশ। চলুন আমরা সবাই মিলে বাংলাদেশটাকে ভালোবাসি৷ যখন আমরা বাংলাদেশকে ভালোবাসবো, তখন দেখবেন দেশটা ভালোভাবে চলবে৷'
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আব্দুর রশিদ জিতু বলেন, গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে দীর্ঘদিনের স্বৈরাচার সরকারকে হটিয়ে দিয়ে ছাত্র-জনতা যখন সুন্দর একটি দেশ গঠনের জন্য কাজ করছে, তবে স্বৈরাচার সরকারের রেখে যাওয়া দুষ্কৃতকারীরা বহির্বিশ্বের কাছে আমাদের অর্জনকে ম্লান করার জন্য দেশব্যাপী অগ্নিসংযোগ, লুটতরাজ ও রাহাজানি করছে৷ আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই৷ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বলবো, সন্ত্রাসীরা যেই হোক তাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হোক৷'
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ