জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতি নির্ধারণী ব্যক্তিবর্গের সাথে জরুরি বৈঠকের সুপারিশের ভিত্তিতে ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
বুধবার (৭ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের অনুমোদনক্রমে রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীর স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।
তবে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ ঘোষণা হলেও বন্ধ হয়নি শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীর রাজনীতি। মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা ছাত্ররাজনীতি বন্ধসহ শিক্ষক রাজনীতিও বন্ধের দাবি জানান।
এ ছাড়া ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সমন্বয়করা জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, সকল হল প্রভোস্ট, প্রক্টর, ছাত্র উপদেষ্টা ও রেজিস্ট্রারের প্রকাশ্যে ও আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চেয়ে পদত্যাগ দাবি জানালেও এখনো পদত্যাগ করেননি উপাচার্য, অগ্নি-বীণা হল প্রভোস্ট, দোঁলনচাপা হল প্রভোস্ট, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল প্রভোস্ট, ছাত্র উপদেষ্টা ও রেজিস্ট্রার।
তবে গতকাল ৭ আগস্ট (বুধবার) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই ডিন, বঙ্গবন্ধু হলের প্রভোস্ট এবং প্রক্টরকে অব্যহতি দিয়ে এক অফিস আদেশ প্রকাশ করে এসব পদে নতুনভাবে পদায়ন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পরে শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা না করে নতুন প্রশাসন ঘোষণা করায় নতুন প্রক্টরকে তালাবদ্ধ করে বিক্ষোভ চালায় শিক্ষার্থীরা এবং দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের রাজনীতি নিষিদ্ধের ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. হুমায়ুন কবীর বলেন, এ ব্যাপারেও আমরা সিদ্ধান্ত নেবো। ছাত্র রাজনীতি বন্ধের ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। সিন্ডিকেট মিটিংয়ে সকল ধরনের রাজনীতি বন্ধের ব্যাপারের সিদ্ধান্ত আসবে।
ক্লাস, পরীক্ষা কবে নাগাদ শুরু হতে পারে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের কাছে কোনো নির্দেশনা নেই। অনেকদিন থেকে ক্যাম্পাস বন্ধ। কবে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করা যায় এ ব্যাপারে আমরা সক্রিয়ভাবে ভাবছি। দ্রুততম সময়ে আমরা ক্লাস, পরীক্ষা শুরু করবো।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ