ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১, ১৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬
নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়

ভিসি, হল প্রভোস্ট, প্রক্টর, ছাত্র উপদেষ্টা ও রেজিস্ট্রারের পদত্যাগ দাবি

প্রকাশনার সময়: ০৬ আগস্ট ২০২৪, ২০:৩৮ | আপডেট: ০৬ আগস্ট ২০২৪, ২১:১৭

আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, সকল হল প্রভোস্ট, প্রক্টর, ছাত্র উপদেষ্টা ও রেজিস্ট্রারের প্রকাশ্যে ও আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চেয়ে পদত্যাগ দাবি করেছেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়করা।

মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) দুপুর দেড়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নজরুল ভাস্কর্যের পাদদেশে অনুষ্ঠিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এই দাবি জানান সমন্বয়করা। তবে এখন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. হুমায়ুন কবীর প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইলেও বাকিরা ক্ষমা চাওয়া কিংবা পদত্যাগ কোনোটিই করেননি।

এদিকে, রাষ্ট্রীয়ভাবে অফিস খোলা থাকলেও রেজিস্ট্রার, ছাত্র উপদেষ্টা ও অগ্নিবীণা হল প্রভোস্ট ব্যতীত আজ অফিসে আসেননি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, ট্রেজারার, প্রক্টর ও অন্যান্য হলের প্রভোস্টরা।

এব্যাপারে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. হুমায়ুন কবীর বলেন, আমার কাছে শুধুমাত্র জাতির জনক বঙ্গবন্ধু হলের প্রভোস্ট মাসুম হাওলাদারের ছুটির দরখাস্ত থাকলেও বাকিরা কোনো ছুটি নেননি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও ট্রেজারার স্যারের ছুটি মন্ত্রণালয় থেকে হয়। তাদের ছুটির ব্যাপারে আমি কিছু জানি না।

ছাত্রদের পদত্যাগের দাবির ব্যাপারে তিনি বলেন, এটি তো আমার চাকরি। অতিরিক্ত দায়িত্ব না। আমাদের ভুল ছিল। সেই দ্বায় স্বীকার করে আমি ক্ষমা চেয়েছি।

ছাত্র উপদেষ্টা ড. মেহেদী উল্লাহ বলেন, আমি সবসময় শিক্ষার্থীদের পাশে ছিলাম। আজও বিভাগ ও ছাত্র উপদেষ্টা দপ্তরে গিয়েছি। গতকাল রাতেও আমি ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেছি। অনেকে সমন্বয়কদেরকে হুমকি ও ভয় দেখালেও আমি সেগুলোর সমাধান করেছি। আমি আমার দায়িত্ব মাঠে থেকে পালন করেছি। সকল শিক্ষার্থীই জানেন। সমন্বয়করাও দেখেছেন সব।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রভোস্ট ও প্রভোস্ট কাইন্সিলের সভাপতি মাসুম হাওলাদার বলেন, আমি ছুটি নিয়েছি। হল খুলে দেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় হাউজ টিউটররা সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছেন। শিক্ষার্থীদের চাওয়া পদত্যাগ দাবি যৌক্তিক। সেরকম হলে পদত্যাগ করতে হবে।

অগ্নিবীণা হল প্রভোস্ট হীরক মুশফিক বলেন, আমি শিক্ষার্থীদের পক্ষে সবসময় কাজ করেছি। আজ হলেও গিয়েছিলাম। শিক্ষার্থীরা চাইলে আমি পদত্যাগ করবো।

দোঁলনচাপা হল প্রভোস্ট লাইলী আক্তার বলেন, যেদিন হল বন্ধ হয়ে যায় সেদিন আমি কারো সাথে উচ্চবাচ্চ করিনি। শিক্ষার্থীরা আমাকে বুঝেছে, আমি শিক্ষার্থীদের বুঝেছি। শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস আসুক। সবাই মিলে কথা বলুক। যদি আমাকে পদত্যাগ করতে হয় আমি করবো।

এব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর, ট্রেজারার প্রফেসর ড. আতাউর রহমান, বঙ্গমাতা হল প্রভোস্ট ইন্দ্রাণী মন্ডলের সাথে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া প্রক্টর সঞ্জয় কুমার মুখার্জিকে ফোনে পেলেও পরে কথা বলবেন বলে জানান তিনি।

উল্লেখ্য, প্রেস ব্রিফিংয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা মোট ৭ দফা দাবি উত্থাপন করেন। অন্যান্য দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সকল ধরনের দলীয় শিক্ষক ও ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করা, অবিলম্বে আইন প্রণয়ন করে ছাত্র সংসদ চালু করে নির্বাচনের ব্যবস্থা করা, অবৈধভাবে সিট দখল সকলকেই উপস্থিত থেকে নিজেদের জিনিসপত্র নিজ দায়িত্বে সরিয়ে নেওয়া, নিজ নিজ রুমের চাবি হল প্রশাসনের কাছে জমা দেওয়া। এসময় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দাবিসমূহ মেনে না নিলে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও জানান তারা।

নয়া শতাব্দী/এসআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ