ঢাকা, রোববার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১, ৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

আহতদের পাশে থাকার ঘোষণা কুবির নৃবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যানের

প্রকাশনার সময়: ১৬ জুলাই ২০২৪, ২১:৫৭

কোটা আন্দোলনে ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে গত কয়েকদিন ধরেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সরব রয়েছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা। এবার আহত শিক্ষার্থীদের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন নৃবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ও সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ আইনুল হক।

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সন্ধ্যায় সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, বিভাগের কোন শিক্ষার্থী আক্রমণের শিকার হয় তাহলে বিভাগ তার পাশে থাকবে এবং সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে। কোনোভাবেই কেউ যাতে কোন শিক্ষার্থীকে আক্রমণ না করে।

এর আগে তিনি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে ফেসবুকে নিজের টাইমলাইনে লিখেন, ‘শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানাই! এই শিক্ষার্থীরা আছে বলেই আজ আমরা শিক্ষক। সর্বক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন। ক্যাম্পাস হউক সবার জন্য নিরাপদ!

তিনি আরও লিখেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তড়িৎ কোনো সমাধান দিন বা আলোচনায় বসুন। দেশের চলমান এই অস্হিরতা ও নৈরাজ্যের দ্রুত অবসান হউক। দুই সপ্তাহ ধরে দেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ! জানি না কতদিন এভাবে চলবে। শিক্ষক- শিক্ষার্থী আমরা কেউ ভালো নেই। এই দায় আমাদেরও! আমাদের শুভবুদ্ধির উদয় হউক।’

এ ছাড়াও, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শারমিন রেজওয়ান লিখেন, উপাচার্যরা নাকি বিশ্ববিদ্যালয়ের সবার অভিভাবক, প্রক্টরেরা নাকি বিশ্ববিদ্যালয়ের রক্ষক- যখন ছাত্রছাত্রীদের ওপর আক্রমণ করে পুলিশ, বহিরাগতরা- এরা কোন গর্তে লুকিয়ে থাকে?

সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে সহিংস আক্রমণের প্রতিবাদ জানাই। সহিংসতা কোন সমাধান নয়। মেরে ধরে কোন কালেই আন্দোলন দমানো যায়নি। আপনারা নিজেদের ইগো বাদ দিয়ে, ছেলে-মেয়েদের সাথে বসে আলোচনার মাধ্যমে দ্রুত এই অস্থিরতার সমাধান করুন। ’

বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নুর রাজু লিখেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিপীড়ন বিরোধী শিক্ষক সমাবেশ আগামী ১৭ জুলাই 'অপরাজয়ের বাংলা' সকাল ১১টায়। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা মুখে কালো কাপড় বেঁধে মাঠে নেমেছেন। আমরা কি কোন সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছি? বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মারা গিয়েছে আমাদের কি কোন দায়বদ্ধতা নেই তাদের কাছে? সকল মায়ের সন্তানেরা নিরাপদে থাকুক।’

লোক প্রশাসন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. জান্নাতুল ফেরদৌস লিখেন, ‘আমরা দিনে দিনে কিভাবে এতোটা নির্লজ্জ হয়ে গেলাম!! এই শিক্ষক জীবন বৃথা। আমি স্বীকার নিলাম এই শিক্ষক জীবন বৃথা’।

নয়া শতাব্দী/এসআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ