ক্রমাগত বদলে যাচ্ছে জলবায়ু ও ঋতুবৈচিত্র্য। ফলে হারিয়ে যাচ্ছে অনেক দুর্লভ প্রজাতির উদ্ভিদ। তাই পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় এসব উদ্ভিদ সংরক্ষণের অংশ হিসেবে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) দুর্লভ প্রজাতির ২০০টি গাছের চারা রোপণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে নয়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানিক্যাল গার্ডেনে প্রকৃতি ও পরিবেশ বিষয়ক সংগঠন তরুপল্লব ও স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক এসব গাছ রোপণ করে। এতে সহযোগিতা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগ।
এসময় ২০টি দুর্লভ প্রজাতির প্রায় ২০০টি গাছের চারা রোপণ করা হয়। এর মধ্যে স্বর্ণচাঁপা, নাগমনি, জগডুমুর, কনকচাঁপা, শিউলি, সোনালু, জ্যাকারান্ডা, নাগলিঙ্গম, গর্জন, রক্তন, নারিকেল, বৌদ্ধ নারিকেল, উদাল, আমড়া, ডেউয়া, সুপারি, হরীতকী গাছের চারা অন্যতম।
বৃক্ষরোপণের সময় উপস্থিত ছিলেন- কথাসাহিত্যিক ফারুক মঈনউদ্দিন, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের হেড অব কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স, ব্র্যান্ড অ্যান্ড মার্কেটিং বিটপী দাশ চৌধুরী, তরুপল্লবের সাধারণ সম্পাদক মোকারম হোসেন, সহ-সভাপতি শাহজাহান মৃধা, জাবি উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক নুহু আলমসহ প্রমুখ।
তরুপল্লবের সাধারণ সম্পাদক ও নিসর্গী মোকারম হোসেন বলেন, দেশে রঙিন উদ্যান তৈরিতে কাজ করে যাচ্ছে তরুপল্লব। বিপন্ন ও দুর্লভ প্রজাতির গাছ বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা করতে বীজ বা চারা সংগ্রহ করে নিরাপদ স্থানে রোপণের ব্যবস্থা করছি। এর ধারাবাহিকতায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা ২০০টি চারা রোপণ করেছি।
এ বিষয়ে জাবি উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক নুহু আলম বলেন, আমাদের গার্ডেন শুধু নান্দনিকতার জন্য না, এটি মাঠ পর্যায়ের গবেষণার জন্য। আমরা গার্ডেনকে পূর্ণাঙ্গ করতে চাই। এজন্য গাছের আবাসস্থল বানাতেই আমরা গাছগুলো রোপণ করেছি। আর ক্যাম্পাসে গাছ সংরক্ষণে সচেতনতা ও পরিচিতির জন্য প্রতি বছর একটি অনুষ্ঠানের উদ্যোগ নিতে যাচ্ছি।
নয়া শতাব্দী/এসএম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ