প্রায় দীর্ঘ ৬ ঘণ্টা (১১টা-৫.১৫টা) পর বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বিকেল ৫.১৫ মিনিটে তিস্তা ট্রেনটি ছেড়ে দেন। এতে ময়মনসিংহ-ঢাকা রুটে রেল চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
ট্রেন ছেড়ে দিয়ে পরবর্তী কর্মসূচির জন্যে মিটিংয়ে বসেছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। সংবাদ সম্মেলনে তারা সন্ধ্যা পর্যন্ত ট্রেন আটকে রাখতে চেয়েছিলো।
সরকারি চাকরির প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের ওপর স্থিতাবস্থা জারি করেছেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে আগামী চার সপ্তাহ পর বিষয়টি পরবর্তী শুনানি করার জন্য দিন নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর প্রেক্ষিতে বুধবার (১০ জুলাই) দুপুর ১টা ১০ এ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
এসময় শিক্ষার্থীদের পক্ষে মো. ইরান মিয়া জানান, আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। হাইকোর্টের রায় স্থগিত করেছে আপিল বিভাগ। এর মাধ্যমে আমাদের দাবি আদায় হয়নি। এটি এক প্রকার প্রহসন করা হয়েছে। তাই আমরা আজ সারাদিন ব্লকেড কর্মসূচি পালন করবো ট্রেন আটকিয়ে। সরকারি চাকরির সব গ্রেডে (নবম-২০তম) বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে শুধু অনগ্রসর, প্রতিবন্ধী এবং মুক্তিযোদ্ধা কোটা সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ করতে হবে, এই একদফা এক দাবিতে আমাদের আন্দোলন চলবে। জনসাধারণের অসুবিধার জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত।
এর আগে কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথ অবরোধ করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষার্থীরা। এ সময় জামালপুরগামী তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেন আটকে বিক্ষোভ করেন তারা। বুধবার (১০ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জব্বারের মোড় এলাকায় ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীরা রেলপথ অবরোধ করেন। এ সময় তারা কোটাবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। ‘
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ