বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) আন্তর্জাতিক অ্যাস্ট্রোনমি অলিম্পিয়াডের বাছাই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশের প্রতিনিধি বাছাই প্রক্রিয়ার তৃতীয় দিনে এপেক্স অ্যাস্ট্রো-অলিম্পিয়াডের ময়মনসিংহ বিভাগের বাছাই পর্বের আয়োজন করা হয়।

রোববার (৭জুলাই) সকাল ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন মিলনায়তনে ওই অলিম্পিয়াডের বাছাই পরীক্ষার শুরু হয়। জ্যোতির্বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহী ১৪ থেকে ১৮ বছর বয়সী স্কুল এবং কলেজের মোট ৯৬ জন শিক্ষার্থী এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন।

অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থীদের মধ্য থেকে ৬০ জনকে বিজয়ী হিসেবে বাছাই করা হয়। এর মধ্যে ২০ জন সিনিয়র গ্রুপ এবং ৪০ জন জুনিয়র গ্রুপ ক্যাটাগরিতে বিজয়ী হন। পরে দুপুর আড়াই টায় বিজয়ীদের মধ্যে ম্যাডেল ও সার্টিফিকেট তুলে দেওয়া হয়।

এই অলিম্পিয়াডটির আয়োজন করেছে বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন। বাকৃবিতে অনুষ্ঠানটির আয়োজনে সার্বিকভাবে সহায়তা করে বাকৃবি বিজ্ঞানচর্চা কেন্দ্র।

অলিম্পিয়াডে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মশহুরুল আমিন, গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কাজী শেখ ফরিদ, বিজ্ঞানচর্চা কেন্দ্রের কেন্দ্রীয় সংগঠক তানজিলা ঋতু এবং বাকৃবি বিজ্ঞানচর্চা কেন্দ্রের সভাপতি জাবের ইসলাম।

পরবর্তীতে, প্রাথমিক বাছাই পর্বে উত্তীর্ণদের নিয়ে আগামী ৩ আগস্ট ঢাকায় আয়োজন করা হবে ‘এপেক্স অ্যাস্ট্রো-অলিম্পিয়ডের জাতীয় পর্ব। জাতীয় পর্ব থেকে সিনিয়র গ্রুপের ১৫ জন এবং জুনিয়র গ্রুপের ১৫ জনসহ মোট ৩০ জনকে নিয়ে ২১-২৪ আগস্ট ৪ দিনের আবাসিক ক্যাম্প এবং চূড়ান্ত বাছাই করা হবে।

বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মশহুরুল আমিন জানান, শেষ ৩০ জনের ক্যাম্প থেকে নির্বাচিত ৫ প্রতিযোগী ২৮তম আন্তর্জাতিক অ্যাস্ট্রোনমি অলিম্পিয়াডে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবে। এ ছাড়া চূড়ান্ত পর্বে বিজয়ী সিনিয়র গ্রুপের তৃতীয় থেকে দ্বাদশ স্থান অধিকারীদের মধ্যে থেকে সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে নির্বাচিত দুইজনকে রাশিয়ান সরকারের পক্ষ থেকে বৃত্তি দেয়া হবে। তারা জ্যোতির্বিজ্ঞান এবং জ্যোতি পদার্থ বিজ্ঞান বিষয়ে পড়ার জন্য রাশিয়া যেতে পারবেন।

নয়া শতাব্দী/এসআর